২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ২:৫৮

পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য আহবান

পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহŸান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৪ ডিসেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “নির্বাচন কমিশন যদি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করতে না পারে তাহলে দেশের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
দেশবাসী আশা করেছিল যে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে সক্ষম হবেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারভাবে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের সরকারের প্রতি আজ্ঞাবহ ভূমিকা দেখে জনগণ বিস্মিত ও হতাশ হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের গণহারে নির্বাচনী আচরণ বিধি লক্সঘনের কারণে নির্বাচন কমিশন অসহায় হয়ে পড়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছে। তা সত্তে¡ও সরকারী দলের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমপি এবং নেতারা গণহারে নির্বাচনী আচরণ বিধি লক্সঘন করেই চলেছে। অথচ নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ফলে দেশবাসীর মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে তাহলে কী দেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলতি বছরের ঢাকা এবং চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের প্রহসনের মত ভোটারবিহীন ব্যালট ডাকাতির একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে?
ইতিমধ্যেই সরকারী দলের সমর্থকগণ বিরোধী দলের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করছে, গাড়ি ভাংচুর করছে এবং বিরোধী দলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের পুলিশ দিয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করাচ্ছে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে ও মারধর করে ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করছে। এ অবস্থা দেখে ভোটার জনগণের মধ্যে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও ¯^চ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সকল প্রার্থীদের জন্য প্রচারের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে সবাইকে নির্বাচনী আচরণ বিধি কঠোরভাবে মানতে বাধ্য করে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বাস্তবমুখী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি। অন্যথায় বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যা কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না।”