৩ জানুয়ারি ২০১৬, রবিবার, ২:৫৩

সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং জামায়াত নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের অংশ হিসেবে সরকারের আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গত ২ ডিসেম্বর ৫ জন জামায়াত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “দেশবাসী সকলেই জানেন যে, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী গণতান্ত্রিক সংগঠন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক দল। ইসলামী দাওয়াহ কার্যক্রম, সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জামায়াতের জনশক্তিগণ অর্থ প্রদান করে থাকেন। তাদের অর্থ দ্বারাই সংগঠন পরিচালিত হয়। জামায়াতের আয়ের উৎস তাদের নিজ¯^ জনশক্তি ও শুভাকাক্সক্ষীগণ। জামায়াতের এ আয় এবং ব্যয় দৃশ্যমান। জামায়াতের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা আছে।
সরকার ২০১১ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং মহানগরী অফিসসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ বন্ধ করে রেখেছে। একদিকে অফিস ব্যবহার করতে দিচ্ছে না, অপরদিকে কোথাও বসতেও দিচ্ছে না। জামায়াতের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেখানেই বসে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, সেখানেই পুলিশ হানা দিচ্ছে। ২০১৫ সালের শেষ প্রান্তে জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রদত্ত অর্থ সংগঠনের নিকট জমা হয়। সারা বছরে জনশক্তি ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রদত্ত অর্থের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করার সময় পুলিশ হানা দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ৫ জন দায়িত্বশীলকে গ্রেফতার করে এবং জনশক্তি ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রদত্ত বাৎসরিক অর্থের পুরো অংশ নিয়ে যায়।
দেশবাসী নিশ্চয়ই অবগত আছেন, জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাক্সখীদের প্রদত্ত অর্থ কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। জামায়াতের ইতিহাসে কোন ধরনের নাশকতা তো দূরের কথা, অবৈধ ও বেআইনী খাতে অর্থ ব্যয় করার কোন নজীর নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী নাশকতার কাজে অর্থ ব্যয়ের যে সব কথা অপপ্রচার করছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
জামায়াতের আয় থেকে সাংগঠনিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জামায়াত অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতনভাতাও এ অর্থ থেকে দেয়া হয়।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সকল প্রকার নাশকতা এবং উচ্ছৃক্সখল কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করে। সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। গতকাল আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাক্সখীদের প্রদত্ত সারা বছরের অর্থই শুধু নেয়নি, অফিসের আসবাবপত্র ও জরুরী জিনিসপত্রও নিয়ে যায়। আমি সরকারের ও আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল অর্থ ও আসবাবপত্র ফেরত দেয়ার এবং গ্রেফতারকৃতদের এই মুহূর্তে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”