৯ জানুয়ারি ২০১৬, শনিবার, ২:৫০

কালের কণ্ঠের রিপোর্টে বর্ণিত তথ্যের কোন ভিত্তি নেই

দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় “আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাচ্ছে জামায়াত!” শিরোনামে আজ ৯ জানুয়ারী প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ৯ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঢাকা মহানগরীর রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকা থেকে সম্প্রতি জামায়াতের গ্রেফতারকৃত ৫ জন নেতা-কর্মীর পুলিশের নিকট দেয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে যে সব তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।

গ্রেফতারকৃত কোন ব্যক্তির কাছ থেকে পুলিশের আদায় করা বক্তব্য বাইরে প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনী কাজ। পুলিশের কোন কর্মকর্তা কখনো এ ধরনের বেআইনী বক্তব্য প্রকাশ করতে পারেন না। কাজেই জামায়াতের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের বরাত দিয়ে কালের কণ্ঠের রিপোর্টে বর্ণিত তথ্যের কোন ভিত্তি নেই।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পূর্ণ আইনানুগ বৈধ রাজনৈতিক দল। এ সংগঠন দুটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পন্থায় প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক তৎপরতা চালাচ্ছে। আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে নাশকতা চালানোর প্রশ্নই আসে না। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের নিকট থেকে পুলিশ যে টাকা হস্তগত করেছে তা বৈধভাবে নেতা-কর্মীদের দেয়া অর্থ। এ অর্থ অবিলম্বে জামায়াতকে ফেরত দিয়ে ৫ জন নেতা-কর্মীকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।

আমীরে জামায়াতের মামলার রায়ের পরে জামায়াত ও ছাত্রশিবির নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল মর্মে কালের কণ্ঠের রিপোর্টে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমীরে জামায়াতের রায়ের পরে জামায়াত ও ছাত্রশিবির শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছে। আইন-শৃক্সখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা কিংবা বোমা বিস্ফোরণের কোন ঘটনাই কেউ ঘটায়নি। জামায়াতের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীগণের সাথে নাশকতার কোন সম্পর্ক নেই।

জেএমবি, হুজি ও আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নেই। কাজেই কালের কণ্ঠের রিপোর্টে উল্লেখিত গত ৫ মাসে ২০টি জঙ্গী হামলার ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামীর কারো কোন সম্পর্ক নেই। দেশে এ পর্যন্ত যে সব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে তার কোনটির সাথেই জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোন ধরনের সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কাজেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহŸান জানিয়ে আমি আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”