৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, বুধবার, ১২:০৬

সরকার নাশকতার অজুহাত দেখিয়ে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদেরকে গণহারে গ্রেফতার করছে

সরকার প্রদত্ত মিথ্যা, সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩ জন মাঠকর্মীসহ ২০ দলীয় জোটের ২৮ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করায় বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৩ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বিনা ভোটে কথিত নির্বাচিত সরকার তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে প্রকৃত বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে এ সরকার গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদেরকে সাজানো মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হচ্ছে।

নাশকতা সৃষ্টির মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করা বর্তমান সরকারের একটি সাজানো রাজনৈতিক কৌশলে পরিণত হয়েছে। সরকার নাশকতার অজুহাত দেখিয়ে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদেরকে গণহারে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে। এখন গোটা দেশটাকেই সরকার এক বৃহৎ কারাগারে পরিণত করেছে। বর্তমানে দেশের কারাগারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার চাইতে কয়েক গুণ বেশি বন্দীকে ঠাসাঠাসি করে রাখা হয়েছে। সাজানো মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদেরকে সাজা প্রদান করছে। এরই অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৩ জন মাঠকর্মীসহ ২০ দলীয় জোটের ১৫ জন নেতাকর্মীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান এবং ১৩ জন নেতাকর্মীকে ৫ বছর করে সাজা প্রদান করা হয়েছে।

আমি সরকারের এহেন স্বৈরাচারী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে জনগণকে জুলুমবাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।”