১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার, ১১:১২

জনাব মীর কাসেম আলীকে আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মীর কাসেম আলীকে আইনী সেবা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে ও বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ১৫ ফেব্রুয়ারী নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ-

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সরকার জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কথিত মানবতা বিরোধী অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ও নিজেদের দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করার ব্যবস্থা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে শুরু করে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বিচারের বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার নানাভাবে বিচার কার্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

স্কাইপ কেলেংকারী, আদালাত চত্ত¡র থেকে সাক্ষী অপহরণ, আইনীজীবীদের নানাভাবে হয়রানী ও সর্বশেষে আপীল বিভাগে জনাব মীর কাসেম আলীর মামলায় নিয়োজিত আইনজীবী সদ্য অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বৈরী পরিবেশ তৈরী করে তাকে মামলা পরিচালনা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করে সরকার প্রমাণ করেছে বিচার নয়, যেনতেনভাবে জনাব মীর কাসেম আলীকে দণ্ডিত করাই সরকারের আসল উদ্দেশ্য।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এটর্নী জেনারেলের সঙ্গে দুটি মামলায় একই মক্কেলের পক্ষে ও তিনটি মামলায় এটর্নী জেনারেলের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। তখন এটর্নী জেনারেলের পক্ষ থেকে কোন ধরনের আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। অথচ মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালানার ক্ষেত্রে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত বৈরী পরিবেশ তৈরী করে তাকে এ মামলা পরিচালনা করা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করেন। সরকারের এ ভূমিকা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাই।

সরকার জনাব মীর কাসেম আলীকে আইনী সেবা পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। রাষ্ট্রের এ নগ্ন হস্তক্ষেপ মীর কাসেম আলীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে আশংকা ব্যক্ত করা হয়েছে।

আমরা বিচারের নামে সরকারের প্রহসন বন্ধ করে জনাব মীর কাসেম আলীসহ আটক সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দের এই মুহূর্তে মুক্তি দাবী করছি।”