১ মার্চ ২০১৬, মঙ্গলবার, ১১:০১

জামায়াত কর্মী আবু হুরাইরা মালিথার ক্ষত-বিক্ষত লাশ পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কুঠিদুর্গাপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক, জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জনাব আবু হুরাইরা মালিথাকে গত ২৩ জানুয়ারী আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মাদরাসা থেকে তুলে নেয়ার ১ মাস ৬ দিন পর তার ক্ষত-বিক্ষত লাশ গত ২৯ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে যশোর চৌগাছা সড়কের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “এ ঘটনার দ্বারাই প্রমাণিত হচ্ছে দেশে আজ মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষ জানমাল নিয়ে শংকিত ও আতঙ্কিত।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুঠিদুর্গাপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক জামায়াতে ইসলামীর কর্মী জনাব আবু হুরাইরা একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন। তাকে গত ২৩ জানুয়ারী মাদরাসা থেকে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকেরা নিয়ে যাওয়ার পর ২৯ ফেব্রুয়ারী তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ মর্মান্তিক ঘটনায় তার পরিবার-পরিজন এবং আত্মীয়-স্বজন শোকে মুহ্যমান। তার বিরুদ্ধে যদি কোন সুনির্দিষ্ট মামলা বা অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু তা না করে এক মাস ছয়দিন গায়েব করে রেখে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাকে পৈশাচিকভাবে হত্যা করাকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হোক বা যারাই হোক এ অপকর্মের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।

জনাব আবু হুরাইরাকে শহীদ হিসেবে কবুল করার জন্য আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করছি এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিজান-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি আল্লাহ তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।”