১৮ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার, ৭:২২

জামায়াত নেতা নূর মোহাম্মদকে অস্ত্র ও গুলীসহ আটক করার পুলিশের দাবী সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নূর মোহাম্মাদকে পুলিশের অপহরণ করার দীর্ঘ ১৬ দিন পর তাকে অস্ত্র ও গুলীসহ আটক করার যে দাবী পুলিশ করেছে তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ১৮ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নূর মোহাম্মদকে অস্ত্র ও গুলীসহ আটক করার যে দাবী পুলিশ করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হীন উদ্দেশ্যেই পুলিশ তাকে অস্ত্র ও গুলীসহ আটকের মিথ্যা কথা প্রচার করছে।

জনাব নূর মোহাম্মদকে গত ২ মার্চ পুলিশ ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা এলাকা থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর থেকে পুলিশ তাকে আটক করার কথা অব্যাহতভাবে অস্বীকার করতে থাকে। ফলে জনাব নূর মোহাম্মাদের আত্মীয়-পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন অতিবাহিত করতে থাকেন। দীর্ঘ ১৬ দিন পরে আজ ১৮ মার্চ পুলিশ জনাব নূর মোহাম্মদকে ১৭ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ দিশারী স্কুল এন্ড কলেজ পাড়া থেকে অস্ত্র ও গুলীসহ আটক করার ভিত্তিহীন মিথ্যা দাবী করেছে। পুলিশের এ ধরনের কাল্পনিক বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
জনাব নূর মোহাম্মদকে গত ২ মার্চ আটক করার পর থেকে আজ ১৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশ্নবোধক ও রহস্যজনক। কোন মানুষকে আটক করার পরে তাকে অজ্ঞাত স্থানে লুকিয়ে রাখা এবং গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অমানবিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের বেআইনী আচরণের কারণেই তারা দেশের জনগণের আস্থা হারিয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে তাকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”