২৫ মার্চ ২০১৬, শুক্রবার, ৭:১৮

তনু হত্যার যটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ: দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী

গত ২০ মার্চ কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু টিউশনী করে বাসায় ফেরার পথে ধর্ষিতা হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৫ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সোহাগী জাহান তনুকে সেনানিবাস এলাকার ভিতরে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়। সেনানিবাসের মত একটি নিরাপদ স্থানে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কী কখনো কল্পনা করা যায়? ঘটনার আজ ৬ দিন হয়ে গেলো অথচ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধর্ষক ও খুনীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই এমন পৈশাচিক ও নৃশংস ঘটনা ঘটছে যা মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। উল্লেখ্য যে, গত ২০১৫ সালে ১৪১টি শিশু ধর্ষিতা হয়েছে এবং গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০৩ জন নারী। অথচ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতারা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চ মুখ। তাদের মতে অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে না কি বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক উন্নত। সরকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ায়ে তাদের গ্রেফতার, অপহরণ, গুম, হত্যা করার কাজে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে। খুনী ও সন্ত্রাসীরা সরকার এবং প্রশাসনের অশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হেন অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। স্বাধীন বাংলাদেশে একজন নারীর কোন নিরাপত্তা থাকবে না তা কখনো মেনে নেয়া যায় না। আমি তনু হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি ও তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

আমি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের পর দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী করছি। সেই সাথে এ ব্যর্থ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”