২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সোমবার

দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত মিথ্যা ও মনগড়া রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করে দৈনিক ইনকিলাবে যে মিথ্যা ও মনগড়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের আজ ২৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন:-

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ২৭ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের প্রদত্ত বক্তব্যকে বিকৃত করে দৈনিক ইনকিলাব ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় ‘বাংলাদেশে ভারতের আক্রমণ চায় জামায়াত’ শিরোনামে একটি অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গোটা প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও মনগড়া এবং জামায়াতে ইসলামী ও ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এই বানোয়াট প্রতিবেদনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশবাসী জানেন যে ভারতের বিএসএফ নিয়মিতভাবে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা করছে এবং জোরপূর্বক ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা ভারতে আশ্রয় নিয়ে এবং ভারতের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দিচ্ছে। এই বক্তব্যকে বিকৃত করে ভিন্ন অর্থ আরোপ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, জনাব জাহেদ উর রহমানের বরাত দিয়ে ভারতীয় গবেষক শ্রীরাধা দত্তের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতকে প্রো-ভারত দল আখ্যা দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও মনগড়া। একইভাবে ‘জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কখনো শরিয়া আইন আনবে না’ ইনকিলাবের প্রতিবেদনে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহেরের নামে প্রকাশিত এই কথাও সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি কখনো এ ধরনের মন্তব্য করেননি।

তিনি আরও বলেন, একটি জাতীয় দৈনিক হিসেবে ইনকিলাবের এ ধরনের কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশ অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। উল্টো দৈনিক ইনকিলাবের বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট হবে। আমি ইনকিলাব কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আশা করি তারা এই প্রতিবাদ যথাস্থানে প্রকাশ করে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনের সুযোগ দেবেন।”