৮ এপ্রিল ২০১৬, শুক্রবার, ৭:০৮

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির অন্যায় এবং অযৌক্তিক প্রস্তাবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ০৮ এপ্রিল ’১৬ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-

“গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির অন্যায় এবং অযৌক্তিক প্রস্তাবের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের মূল্য ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্যাসের দাম গড়ে ৮৭.৬৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে বাসা-বাড়ীতে এক চুলা ব্যবহারকারীদের প্রতিমাসে গ্যাসের মূল্য বাবদ ১১ শত টাকা এবং দুই চুলা ব্যবহারকারীদের প্রতিমাসে গ্যাসের মূল্য বাবদ ১২শত টাকা পরিশোধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এক চুলা ব্যবহারকারীদের গ্যাসের মূল্যবাবদ ৬০০ টাকা এবং দুই চুলা ব্যবহারকারীদের ৬৫০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। সিএনজি চালিত গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এতে সিএনজি চালিত সকল পরিবহনের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। এটা শুধু অযৌক্তিকই নয়, অমানবিকও বটে।

গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির এই প্রস্তাবে দেশের দরিদ্র জনগণের উপর মরার উপর খাড়ার ঘায়ের শামিল। আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়েছে, সেখানে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কোন যুক্তি নেই। বর্তমান সরকারের এই সাড়ে ছয় বছরের শাসনামলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৮ বার এবং গ্যাসের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৩ বার। এবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে বিদ্যুতের দাম ৯ বার ও গ্যাসের মূল্য ৪ বার বৃদ্ধি করা হবে।

গ্যাস এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা আরো বাড়বে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আরো বৃদ্ধি পাবে। সকল পণ্যের পরিবহন খরচ ও উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাড়ীভাড়া, যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। ফলে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। কৃষক, শ্রমিক, চাকুরীজিবীসহ সীমিত আয়ের লোকদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
গ্যাস ও বিদ্যুতের এ মূল্যবৃদ্ধির ফলে সকল স্তরের জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কুইক রেন্টালের নামে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সরকারী আশীর্বাদপুষ্টরাই কেবল লাভবান হবে।

বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। কাজেই দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। জনগণের সুখ-শান্তির কথা সরকার মোটেই ভাবেনা। সরকার লুটপাট ও গদী রক্ষায় ব্যস্ত। বর্তমান গণবিরোধী সরকার জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে নিজেরা গায়ের জোড়ে অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়। এই সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এই ব্যর্থ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

দেশের দরিদ্র জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে যে কোন ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে সরে আসার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”