১ মে ২০১৬, রবিবার, ১০:৫৩

গোপালপুরে জামায়াতের নেতা-কর্মী গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদঃ যেকোন ধরনের হত্যাকাণ্ডকে জামায়াত ঘৃণা করে

টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডা. রফিকুল ইসলাম বাদশা ও জামায়াত কর্মী জনাব আমিনুল ইসলামকে গত ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ ০১ মে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডা. রফিকুল ইসলাম বাদশা ও জামায়াত কর্মী জনাব আমিনুল ইসলামকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।

রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডা. রফিকুল ইসলাম বাদশা ও জামায়াত কর্মী জনাব আমিনুল ইসলামকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত গোপালপুরের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার হত্যার ঘটনার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডকে জামায়াত ঘৃণা করে।

এ সরকার প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে বারবার জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে হয়রানি করছে। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কার্যতঃ প্রকৃত দোষীদেরকে আড়াল করে নিরাপদে রাখা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে এ ধরনের রাজনৈতিক নিপীড়ন অব্যাহত থাকলে অনাকাংখিত এ সমস্ত ঘটনা থেকে মুক্তি পাওয়া তো দূরের কথা উপরন্তু খুনিরা অধিকতর উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাবে। কার্যতঃ বর্তমানে বাংলাদেশে তাই হচ্ছে।

বিচার বিভাগীয় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দারের প্রকৃত খুনিদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আমি নিহত নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দারের পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

হয়রানি বন্ধ করে গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ডা. রফিকুল ইসলাম বাদশা ও জামায়াত কর্মী জনাব আমিনুল ইসলামকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”