২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬, শুক্রবার, ৬:০৭

ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ আইন ও সংবিধান পরিপন্থী

দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা নিতে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশন এবং ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যায় ও অবৈধ নির্দেশ প্রদান করেছেন বলে পত্রপত্রিকায় যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২৩ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা একটি বৈধ ও আইনানুগ ছাত্রী সংগঠন। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসায় এ সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশন ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়কে যে নির্দেশ প্রদান করেছেন তা সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার এবং কর্তৃত্ব বহির্ভূত। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বেআইনী এবং হাস্যকর।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা একটি ইসলামী আদর্শবাদী ছাত্রীদের সংগঠন। এ সংগঠনটি ১৯৭৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবত এ দেশের ছাত্রী সমাজের মধ্যে পবিত্র কুরআন-হাদীসের দাওয়াত দিয়ে তাদের সঠিক ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা.) পথে জীবন পরিচালনার জন্য ছাত্রী সমাজকে উদ্বুদ্ধ করছে। তারা ছাত্রীদের মধ্যে কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা সম্প্রসারিত করে তাদের কুরআন ও সুন্নাহার আলোকে চরিত্রগঠন করে আদর্শবান নারী হিসেবে গড়ে তুলছে। তারা ছাত্রীদের কুরআন-হাদীসের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে সহায়তা করছে। এ সংগঠনটি দেশের আইন ও সংবিধান মেনেই ইসলামের পক্ষে কাজ করছে। দেশের আইন ও সংবিধান পরিপন্থী কোন কর্মকা-ে তারা কখনো জড়িত ছিল না এবং এখনও নেই। জঙ্গীবাদের সাথে তাদের দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। মিথ্যা অজুহাতে সরকার ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কাজ বন্ধের অন্যায় নির্দেশ প্রদান করেছে। সরকারের এ অন্যায় নির্দেশ শুনে দেশের ছাত্রী সমাজ এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।

নৈতিক অধঃপতন থেকে ছাত্রী সমাজকে রক্ষা করার জন্য ছাত্রী সংস্থা জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কোন অভিযোগ আজ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি।

শতকরা ৯০% ভাগ মুসলমানের এ দেশে যেখানে সংবিধানে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” ও “রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম” বিদ্যমান সেখানে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার মত একটি ইসলামী আদর্শবাদী সংগঠনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ সম্পূর্ণ দেশের আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। সরকারের এ অন্যায় নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

কোন ছলছুতায় বৈধ সংগঠনের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অব্যাহত থাকলে দেশে জঙ্গিবাদ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন।

তাই জাতীয় স্বার্থেই সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসায় ইসলামী ছাত্রী সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”