৭ নভেম্বর ২০১৬, সোমবার, ৩:২২

মন্দিরে হামলার ঘটনায় জামায়াতকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জ্ঞাপন

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ী-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় কোন কোন মহলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জামায়াতকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেয়ায় তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ৭ নভেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনার ইতোমধ্যেই আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের নির্যাতিত নারী ও পুরুষ মিডিয়ার সামনে মন্ত্রী এবং প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন। মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঘটনা ঘটায় অনেকেই মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ৩ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে। দেশবাসীর নিকট পরিস্কার হয়েছে যে, এ ঘটনা গভীর ষড়যন্ত্রের ফসল। তাই নিজেদের অপকর্ম ঢাকা দেয়ার জন্য হাস্যকরভাবে জামায়াতকে দায়ী করে মিথ্যা বক্তব্য দেয়া শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে দেখে গ্রেফতার করা হচ্ছে।

জামায়াতকে দায়ী করে যারা নানা কল্পকাহিনী সাজাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ভিডিও ফুটেজ দেখে জামায়াতের কোন্ কোন্ নেতা বা কর্মী এ ঘটনার সাথে জড়িত তা জাতির সামনে প্রকাশ করুন। জামায়াতের কেউ জড়িত থাকলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি তারা দেখাতে পারবেন না। কারণ জামায়াতের কেউই এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত নন। অতীতেও কোন ঘটনা ঘটলেই জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে বক্তব্য দেয়া হতো। কিন্তু কোন ঘটনাই তারা প্রমাণ করতে পারেনি।

হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থে এ ঘটনার সাথে রাজনৈতিক রং না লাগিয়ে নিরপেক্ষভাবে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়ার জন্য আবারো আমি আহ্বান জানাচ্ছি। এ ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিগণ পর্দার আড়ালে থেকে যাবে। নিরীহ লোকেরা হয়রানীর শিকার হবে। ফলে সমস্যার সমাধান হবে না বরং জটিলতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির দেশ। যুগ যুগ ধরে এ দেশে হিন্দু-মুসলিমগণ একসাথে বসবাস করে আসছে। তাই সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সুখ্যাতি অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থেই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই মিলে এ ধরনের অপকর্মের মোকাবেলা করা উচিত।”