১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ১১:১৩

গণসংযোগ উপলক্ষে বরিশাল মহানগরী জামায়াতের জনশক্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আল্লাহ তা’য়ালার কাছে জবাবদিহির অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতি কাজ করতে হবে

-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন আল্লাহ তা’য়ালার কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে ময়দানে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। সমাজ থেকে ফিতনা ফাসাদ দূর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পথ চলা অব্যাহত থাকবে। মানুষকে একথা ভালোভাবে বুঝাতে হবে,ইসলামী হুকুমত কায়েম না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদত পুরোপুরি পালন সম্ভব নয়।”

তিনি আজ ১৭ এপ্রিল’২৪ বরিশাল মহানগরী আয়োজিত গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে জনশক্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোনো একজন ভাইয়ের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়েছি। যদি কোন ভাই আমাদের পিছনে দাওয়াতি কাজ না করতেন তাহলে এই দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত পেতাম না। দাওয়াতি কাজ করার জন্য প্রত্যেক নবী প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। আমাদের নবী মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ (স.) নবুয়ত প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই তার নিকট আত্মীয়দের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করেছেন। আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে সরাসরি দাওয়াতী কাজ করার নির্দেশনা আসার পরে তিনি মক্কার লোকদের মধ্যে দাওয়াতি কাজ শুরু করেন। সেখানে তীব্র অসহযোগিতা পাওয়ার পরে তায়েফে গিয়ে দাওয়াতি কাজ করার চেষ্টা করেন। সেখানেও জুলুমের শিকার হন। তবুও তিনি আশাহত হননি। পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে তায়েফ গিয়ে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে দাওয়াত পৌঁছেছেন।

তিনি আরও বলেন,বরিশাল মহানগরী দক্ষিণ অঞ্চলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ময়দান। আধুনিক দাওয়াতি পদ্ধতি অনুসরণ করে পরিকল্পিতভাবে নিজ নিজ এলাকার প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। আমরা কথা বলব হৃদয়ের গহীন থেকে। তাহলে মানুষ আমাদের কথা শুনবে এবং ইকামতে দিনের এ পথে তারা আসবে,ইনশাআল্লাহ।”

এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, সংখ্যার বিচার দিয়ে আন্দোলন পরিচালিত হয় না। জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাত্র ৭৫ জন জনশক্তি নিয়ে। সেখান থেকে আজ ভারতীয় উপমহাদেশে এ আন্দোলনের কর্মীর সংখ্যা হাজার হাজার। দাওয়াতের এ ময়দানে জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা কি অবস্থায় আছি সেদিকে না তাকিয়ে হাসিমুখে মানুষের কাছে দাওয়াত উপস্থাপন করতে হবে।

রাসূল (স.) এর হাতে মুসলমান হওয়া প্রথম পাঁচ জন ব্যক্তি তার খুবই কাছের মানুষ। আমরা অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে পিছিয়ে আছি। আমরা আমাদের কাছের মানুষদের দাওয়াতি কাজের আওতায় নিয়ে আসিনা। আমরা আমাদের পরিবার, নিকট আত্মীয় ও প্রতিবেশী লোকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করবো। দাওয়াতি চেতনা নিয়ে কাজ না করার কারণে এই উপমহাদেশে ৮০০ বছর মুসলিম রাজত্ব থাকার পরেও এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলমান নয়।”