১৪ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১২:২৪

রাজশাহী মহানগরী জামায়াতের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠিত

আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টার চাইতে সর্বোচ্চ জেহাদ আর কিছু নেই

-মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামান্যতম কোন দ্বিধা-দ্বন্দ সংশয় থাকার কোন সুযোগ নেই। জীবনে দুনিয়ায় সকল কাজের ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টার চাইতে সর্বোচ্চ জেহাদ আর কিছু নেই।”

তিনি আজ ১৪ এপ্রিল রবিবার রাজশাহী মহানগরীর আয়োজনে ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা কেরামত আলির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর এ্যড.আবু মোহাম্মদ সেলিম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “ইসলামী আন্দোলনে আব্দুল্লাহ ইবনে উবায়ের মতো মুনাফেক চরিত্র থাকলে পরকালে জান্নাত লাভের কোন সুযোগ নেই। একজন মুসলমানের দায়িত্ব হল মহান আল্লাহকে ভয় করে চলা। দুনিয়ার কোন শক্তিকে একজন মুমিন কখনো ভয় করতে পারে না। রমজানের যে মূল শিক্ষা সেটা হল তাকওয়া বা আল্লাহ-ভীতি অর্জন। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বকে পূর্ণ আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ তায়া’লা যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তাঁর রাস্তায় খরচ করতে হবে এবং ঈমানের ব্যাপারে ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কোন দ্বিধা, সন্দেহ-সংশয় থাকা যাবে না। এ সকল ব্যক্তিই পরকালে সফলতা লাভ করবে।”

তিনি আরো বলেন, “বাতিল শক্তি ইসলামের দুশমনেরা দীনি হককে পরাজিত করতে চায়। আল্লাহ তায়া’লা নবী রসূলগণকে এজন্য পাঠিয়েছেন, তাঁরা জাহান্নামের ভয় ও জান্নাতের সুসংবাদ দিবেন। আমাদেরকেও সেই দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের দাওয়াতি ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আগামীতে আমাদের যে জনসংযোগ পক্ষ রয়েছে তা বাস্তবায়নে ঘরে বসে থাকার কেন সুযোগ নাই। আমাদের প্রতিটি পাড়া মহল্লা ও ইউনিটে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনও প্রতিবেশীদের বিশেষভাবে দাওয়াত দিতে হবে।”

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আসল সফলতা জান্নাত লাভ। ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার পিছনে না তাকিয়ে পরকালের জন্য কি করতে পারলাম সেটাই আমাদের বিবেচনা করতে হবে। মহান আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে কোন পরীক্ষায় ফেলছেন না, আপনি খুব সেভে আছেন, এটাতে তুষ্ট নয়, বরং চিন্তার বিষয় এই যে, আল্লাহ তায়া’লা হয়তো আপনার উপর অসন্তোষ রয়েছেন। ভয় করতে হবে একমাত্র আল্লাহ তা’য়ালাকে।”

সভাপতির বক্তব্যে ড. কেরামত আলী বলেন, “আমাদের রাজশাহী মহানগরীর ময়দানের কাজকে আরো গতিশীল করতে হবে। দাওয়াতি কাজের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করতে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আমলের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।”