২২ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০২

গাজীপুর জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গণতন্ত্রের খোলসে ষড়যান্ত্রিক শাসকের যাতাকলে জাতিপৃষ্ট হয়ে পড়েছে

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, এই সরকার জনগণের অধিকার কে বুলন্ঠিত করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। তাদের শাসন শোষণ ও জুলুমে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের খোলসে আজ ষড়যান্ত্রিক শাসকের যাতাকলে জাতিপৃষ্ট হয়ে পড়েছে। এমন একটি পরিবেশে তার ঠিক উল্টো চিন্তা চেতনা লালন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি কোরআনী সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করার মূল চালিকা শক্তি হলো রুকনরা। আন্দোলন ও সংগঠনের পাহারাদার হল রুকনগণ।”

২২ মার্চ জুমাবার গাজীপুর জেলা জামায়াতের আয়োজনে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমীর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মোঃ শফিউদ্দিনের পরিচালনায় সম্মেলন বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা উত্তর অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী।

মাওলানা এটিএম মা,ছুম বলেন, “আমরা কেন দুনিয়াতে এসেছি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কি নির্দেশ তার লক্ষ্য করে চলতে হবে। দুনিয়ার জীবন হলো ত্যাগ ও কোরবানির জীবন। আর পরকালের জীবন হলো ভোগের জীবন। ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত সম্প্রসারিত হতে থাকবে এবং পৃথিবীর কোন শক্তি এই সম্প্রসারণ হতে বিরত রাখতে পারবে না। ন্যায় ও ভ্রাতৃত্বের সৌদের উপর প্রতিষ্ঠিত রাসূল (সা.) এর এই আন্দোলন বাংলাদেশের ভূখণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ত্যাগ ও কুরবানীর সর্বোচ্চ নজরানা দিয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলছে। কোন ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও জুলুম-নির্যাতন আমাদের এই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”

অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ বলেন, “রুকনরা কোরআন প্রচারের কাজে মার্কেটিং অফিসার ও কর্মীরা মার্কেটিং এজেন্ট হিসেবে ময়দানে কাজ করতে হবে। মাহে রমজান হলো কোরআন নাজিলের মাস। আর এ মাসে রুকনদেরকে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কুরআন বিজয়ের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। দেশ ও জাতির ক্রান্তিকালে রোকনদেরকে কান্ডারীর ভূমিকা পালন করতে হবে। গাজীপুরের ময়দানে প্রত্যেকটি গ্রামে গ্রামে সংগঠন কায়েম করতে হবে।”

ড. সামিউল হক ফারুকী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে ও পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে তাকওয়াভিত্তিক জীবন যাপন করতে হবে। সমাজের প্রতিটি স্তরে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দারিদ্র্যমুক্ত স্বনির্ভর জাতি গঠন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী মানবতার পাশে আছে, থাকবে ইনশাল্লাহ। আমাদের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়। শহীদ করা, ফাঁসি দেওয়া, পঙ্গু করে দেয়া হয়। সকল জুলুম ও নির্যাতন উপেক্ষা করে আমরা ময়দানে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।”

সভাপতির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাজধানীর পাশের পার্শ্ববর্তী জেলা হিসেবে গাজীপুর জেলার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই এখানে ইসলামী আন্দোলনের কাজকে গতিশীল রাখতে রুকনদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে। সকল প্রকার বাঁধাকে উপেক্ষা করে কোরআনের বাণী প্রত্যেক গ্রামে পৌঁছে দিতে হবে।”

সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলার নায়েবে আমির মোঃ আব্দুল হাকিম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আনিসুর রহমান বিশ্বাস, জেলা দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, জেলা ওলামা বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা শামসুল আলম, জেলা প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান খান, জেলা শ্রম বিভাগীয় সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।