২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৭:১৬

লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আমাদেরকে সামগ্রীক জীবনে তাক্বওয়ার নীতি অবলম্বন করতে হবে

-মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, "জালিমরা পরাজিত আর মজলুমরা বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। সংগঠনে বড় বড় মুসিবত আসা সত্ত্বেও আল্লাহ আমাদেরকে এগিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রায় সকলকে হারাতে হয়েছে। আল্লাহ সাহায্য না করলে আমাদের পক্ষে এতদূর আগানো সম্ভব হতো না।"

২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লালমনিরহাট জেলা আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা আমীর প্রভাষক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু তাহের এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রটারি হাফেজ শাহ আলম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ হায়দার লাভলু, জননেতা আনোয়ারুল ইসলাম রাজুসহ জেলা ও উপজেলার দায়িত্বশীলবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শাহজাহান বলেন, "এদেশের মানুষের ইসলামের প্রতি ভালোবাসা জন্মগত। পারিবারিকভাবেই তাঁরা ইসলামপ্রিয়। আলেম-উলামার প্রতি মানুষের ভালোবাসা অপরিসীম। ইসলামী আদর্শের প্রতি জনসমর্থন এদেশে ইসলাম বিজয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই জনসমর্থনের জন্যই রাসূল (সাঃ) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেছেন।"

তিনি বলেন, "বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা তাদের মেধার বিকাশ সাধন করতে পারছে না। মতের স্বাধীনতা প্রকাশ করতে পারছে না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজ আত্মঘাতীর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। দুর্ণীতিতে দেশ আজ ছেয়ে গেছে। জামায়াতের দুইজন দায়িত্বশীল তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সেখানে তাদের দক্ষতা ও সততা দেখে বিরোধীরাও অন্তর্জালায় ভুগেন। এমন ব্যক্তি দিয়েই দেশ থেকে দুর্ণীতি দূর করা সম্ভব।

ইসলামী আন্দোলনের জন্য যে পরিস্থিতি আসবে তা আমাদেরকে কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিশ্লেষন করতে হবে। নিজেদের মন মতো বিশ্লেষন করা যাবে না। আমাদেরকে ইতিহাস পড়তে হবে। রাসূল (সাঃ) ও সাহাবীদের (রাঃ) জীবনী পড়ে সেখান থেকে রসদ নিতে হবে। ইতিহাস জানলে কোন দূর্বলতাই আমাদেরকে স্পর্শ করতে পারবে না।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদেরকে বাইয়াতে রিদওয়ানের গুনে গুণান্বিত হতে হবে। সাহাবীদের (রাঃ) জীবন ধারায় নিজেদের জীবন গঠনের চেষ্টা করতে হবে। আমরা বাইয়াত বা শপথের আলোকে নিজেদের জীবন গঠন করতে পারছি কি না তা আত্মসমালোচনা করে দেখতে হবে।

মাওলানা শাহজাহান বলেন, আমাদেরকে জ্ঞানার্জনের দূর্নিবার আকাঙ্ক্ষা রাখতে হবে। জ্ঞানার্জনের ধারাকে আরও গভীরে নিতে হবে। আমাদেরকে আল্লাহর স্মরনে নিজেদের জিহ্বাকে সিক্ত রাখতে হবে। রাতে আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য দিনের চেয়ে রাতকে বেশি কাজে লাগাতে হবে। বেহুদা তর্ক বিতর্ক এড়িয়ে চলতে হবে।"

অনুষ্ঠানের শুরুতেই দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন।