৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ১১:০৩

ঢাকা জেলা দক্ষিণ জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত ভার্চুয়াল সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, জেলা নায়েবে আমীর মোঃ শাহিনুর ইসলাম এবং জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “দুনিয়া হচ্ছে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দুনিয়ায় পাথেয় সংগ্রহের মাধ্যমে আখেরাতের ঘর বানানোর জন্য তাগিদ দিয়েছেন। তবে তা দুনিয়াকে বাদ দিয়ে নয়। ইসলামের মূলমন্ত্রই হচ্ছে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। মূলত; জামায়াত একটি গণমুখী, কল্যাণকামী ও আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন। তাই গণমানুষের কল্যাণ ও দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে একযোগে কাজ করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং এতে তিনি পুরোপুরি সফলও হয়েছেন। তাই রাসূল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করেই আমাদেরকে কুরআনের আইন চালু করার প্রচেষ্টা চালানো এবং সে অনুযায়ী জীবনযাপন করার চেষ্টা করতে হবে।” তিনি আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে রাজপথে আপোষহীন থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন, “সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা দেশকে গভীর সঙ্কটের মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শাসকগোষ্ঠী দেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। অবলীলায় বিদেশে রাষ্ট্রীয় অর্থ পাচার করা হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন। তাই একটি আদর্শবাদী সংগঠনের জনশক্তি হিসাবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। মূলত; জামায়াত মানুষকে জান্নাতের দিকে ডাকে। তাই জুলম-নির্যাতন চালিয়ে বা কোন ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের অগ্রযাত্রা কোনভাবেই রোধ করা যাবে না। সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দ্বীনের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে ময়দানে সকলকে আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহবান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, “মূলত; ঈমানের দাবিতেই এক মুসলিম আরেক মুসলিমের ভাই। জমিন যার হুকুম চলবে তাঁর। মানবরচিত কোন তন্ত্রমন্ত্র বা মতবাদ দিয়ে মানুষের কল্যাণ বা মুক্তি সম্ভব নয়। ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারবাহিকতা। জামায়াত মানুষের মধ্যে ইসলামের বৈপ্লবিক দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে বলেই আমাদের শীর্ষনেতাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ফাঁসী দেওয়া হয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে আর ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে ময়দানে থাকতে হবে আপোষহীন।”

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন বলেন, “জামায়াত ইসলামী এদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। তাই আমরা গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় এদেশে ইসলাম কায়েম করতে চাই। এক্ষেত্রে সহযোগী ভাই ও বোনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে সকলকে বাইয়াত গ্রহণের আহবান জানান।”