৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৮:৫২

মাগুরা জেলা জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং উন্নত-সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সহযোগী সদস্যদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। তবে আধুনিকতার নামে জাহিলিয়াতের মধ্যে নিজেদেরকে নিমজ্জিত করা যাবে না। ইসলাম হল পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের মধ্যে থেকেই আমাদের জীবনকে সাজাতে হবে।”

৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে মাগুরা জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জেলা আমীর এমবি বাকের-এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা সাঈদ আহমাদের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন এবং অঞ্চল টিম সদস্য, মাগুরা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুল মতিন। উপস্থিত ছিলেন মাগুরা সদর উপজেলা উত্তরের আমীর অধ্যাপক ফারুক হুসাইন, মোহাম্মদপুর উপজেলা আমীর মাওলানা কবীর হুসাইন, শালিখা উপজেলা আমীর মাওলানা আলমগীর হোসেন, শ্রীপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা ফখরুদ্দিন মিজান ও সদর উপজেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা কাজী শফিকুর রহমান প্রমুখ।

ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত আরও বলেন, “বাংলাদেশে মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। জনগণকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। দেশে জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর কোনো নিরাপত্তা নেই। ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দম্পত্তিকে ডেকে এনে স্বামীকে বেধে স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এজন্য আমাদেরকে জান ও মাল দিয়ে কাজ করতে হবে। কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত মানবজাতির প্রকৃত শান্তি সম্ভব নয়। এজন্য প্রত্যেক সহযোগীকে ঘরে ঘরে কোরআনের বিধান প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সহযোগী সদস্যদেরকে মানোন্নয়ন করে ধারাবাহিকভাবে কর্মী ও রুকন মানে উন্নীত হতে হবে। পরিবারের সকল সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে সংগঠনভূক্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। আমাদেরকে আখিরাতমুখী জীবন-যাপন করতে হবে। জামায়াতে নামাজ আদায় করতে হবে। জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকতে হবে। বেশি বেশি সালামের প্রচলন ঘটাতে হবে। ঋণমুক্ত জীবন-যাপন করতে হবে। সর্বোপরি তিনি মহান রবের সাহায্য কামনায় রাতের ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।”

বিশেষ অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “সহযোগী সদস্যদের আমানত খিয়ানত করা যাবে না। ওয়াদা পালন করতে হবে। তাদের কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। সর্বোপরি নিজেদেরকে কুরআনে বর্ণিত মুমিনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।”