২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২৬

ঢাকা মহানগরী উত্তরের গুলশান থানা জামায়াতের সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ফ্যাসীবাদী সরকারের পতনের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী রাজপথে অবিচল ও আপোষহীন থাকবে

-মাওলানা আবদুল হালিম

গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংসকারী ফ্যাসীবাদী এবং স্বৈরাচারি সরকারের পতনের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষ সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবিচল ও আপোষহীন থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।

তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের গুলশান থানা আয়োজিত এক বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আবু জুনাইদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ফাহিম আবদুল্লাহর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ড. ফখরুদ্দীন মানিক। উপস্থিত ছিলেন থানার সাবেক আমীর হুসাইন বিন মানসুর, ভাটারা থানা আমীর এডভোকেট রেজাউল করিম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুল মোতালেব মঈন, আবু আনাস, মাওলানা উমর ফারুখ প্রমূখ।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “৭ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নতুন করে ক্ষমতায় এসে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছে। এর মাধ্যমে ক্ষমতা পাগল আওয়ামী দেশ ও জাতিকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। তারা তামাশা ও ভাঁওতাবাজীর ডামী নির্বাচন করে পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার দিবাস্বপ্নে বিভোর। তাই সরকারের অবৈধ ক্ষমতালিপ্সা এবং দেশ ও জাতিস্বত্ত্বা বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত করতে রুকনসহ সর্বস্তরের জনশক্তিকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।” তিনি সরকারকে হঠকারিতা পরিহার করে অবিলম্বে তামাশার সংসদ বাতিল ও পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহবান জানান।

তিনি বলেন, রুকনরা সংগঠনের মূল চালিকাশক্তি। তাই চলমান আন্দোলনকে বেগবান ও সফল করার জন্য তাদেরকে ময়দানে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি, ইলম ও আমলের পরিশুদ্ধির জন্য বেশি বেশি কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত সম্প্রসারণ, সমাজকল্যাণমূক কাজে মনোনিবেশ ও মানুষের যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সরকার আবরো পাতানো ও ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে ক্ষমতা দখল করে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। কিন্তু জনগণ তাদেরকে তা বেশিদিন স্থায়ী হতে দেবে না। বরং তাদের আনন্দ অবিলম্বে হরিষে-বিষাদে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জুলুমবাজ সরকারের পতনের লক্ষ্যে রুকনদেরকে কার্যকর গণআন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।