২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৫:৩৪

রংপুর জেলা জামায়াতের সহযোগী সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এদেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধশালী ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সহযোগী সদস্যদের জান ও মাল দিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ আজ মজলুম। জনগণ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, দূর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন চলমান আছে। এই চলমান আন্দোলনে যে কোনও কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে এই জালিম সরকারের পতন তরান্বিত করতে হবে।”

২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সহযোগী সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর জেলা আমীর মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক গোলাম রাব্বানীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা মোঃ মমতাজ উদ্দিন।

অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, “সহযোগীগণ ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করার কাজে আর্থিক, শারীরিক ও মানুষিক সহযোগিতা যত বেশি বৃদ্ধি করবেন, ইসলামি সমাজ বিনির্মাণ ততো বেশি সহজ ও গতিশীল হবে, ইনশাআল্লাহ। কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এদেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা কখনোই সম্ভব নয়। এজন্য সকল সহযোগীর বাড়িতে বাড়িতে কোরআনের পাঠক-পাঠিকা তৈরির জন্য এখন থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “সহযোগীদের দায়িত্ব হচ্ছে দ্বীন বিজয়ের জন্য চেষ্টা করা। এ জন্য সহযোগী থেকে মানোন্নয়নের মাধ্যমে কর্মী ও রুকন হয়ে নিজেকে দায়িত্ব পালনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এখন থেকে সকলকে দাওয়াতী কাজ ও সামাজিক কাজ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা, বেশি বেশি করে সালামের প্রচলন করা এবং মহান রবের সাহায্য কামনায় রাতের ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিশেষ অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “সহযোগীগণ মানোন্নয়ন ও আত্বগঠনের মাধ্যমে যদি ময়দানে যথাযথ ভুমিকা রাখেন, তাহলে উত্তরের এই মজলুম জনপদ ইসলামী আন্দোলনের জন্য আরও মজবুত ও গতিশীল হবে, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরো বলেন, “এই জালিমের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার মহান দায়িত্ব আমাদেরকেই পালন করতে হবে। এজন্য যেকোনো আন্দোলন ও কর্মসূচি পালনের ক্ষেত্রে ভয়ভীতির উর্ধ্বে ওঠে ত্যাগ ও কোরবানির মানুষিকতা নিয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা আল্লাহকে রব ও দ্বীনকে জীবন বিধান হিসেবে মেনে নিয়ে এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কে রাসূল হিসাবে পেয়ে যখন আমরা খুশি থাকতে পারবো এবং সে অনুযায়ী সামগ্রিক জীবনে চলতে পারবো, তখনেই আমরা ঈমানের পরিপূর্ণ স্বাদ পাবো।”

বিশেষ অতিথি মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বলেন, “সহযোগী সদস্যগণকে কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য অধ্যায়নের মাধ্যমে ইকামাতে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে কর্মী থেকে রুকন হয়ে দ্বীনের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। সকলকে এয়ানত প্রদান এবং এয়ানত বৃদ্ধিসহ আর্থিক কোরবানির ক্ষেত্রে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে।”