২৯ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৭:৩৬

মেহেরপুরে শীতার্তদের মাঝে জামায়াতের শীতবস্ত্র উপহার

সরকার লুটপাটে ব্যস্ত থাকায় মানুষের কষ্টে এগিয়ে আসছে না

-মোবারক হোসাইন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “মেহেরপুর জেলাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল থেকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। ২৮ জানুয়ারি দেশের এই দুই অঞ্চলে মাঝারী থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। সাথে বইছে হিম শীতল বাতাস। গেল কয়েক দিন যাবত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্য দেখা যাচ্ছে না। সর্বত্র তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতে মারাত্মক কষ্ট পাচ্ছে। শীতের তীব্রতা এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া করতে পারছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই সব অঞ্চলের মানুষ ও গৃহ পালিত পশু-পাখি হাড় কাঁপানো শীতে তীব্র কষ্ট পাচ্ছে। নানা রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় মানুষ ঘর হতে বের হতে পারছে না। মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে খেটে-খাওয়া দিন মজুর মানুষ। তারা কাজে যেতে না পেরে মহাবিপদে পড়েছেন। তাদের পক্ষে শীত বস্ত্র কেনা তো দূরের কথা, অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

জনাব মোবারক হোসাইন দরিদ্র শীতার্ত মানুষের উদ্দেশে বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি জনকল্যাণমূলক সংগঠন। জামায়াতে ইসলামী সব সময় বিপদাপদে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এটা জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহ্য। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আপনাদের জন্য কিছু উপহার নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে কিছুটা হলেও আপানাদের কষ্ট লাঘব হবে। জনকল্যাণমূলক সংগঠন হিসেবে জামায়াত পূর্বেও যেমন দুঃখ-কষ্টে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা জালিম সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ত্রাণের মত মানবিক কাজও অবাধে করতে পারি না। সরকার লুটপাটে ব্যস্ত থাকায় মানুষের কষ্টে এগিয়ে আসছে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করায় জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তিনি শীতার্ত মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।

২৯ জানুয়ারি সোমবার মেহের জেলার উদ্যোগে জেলা আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে জনাব মোবারক হোসাইন এসব কথা বলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস এবং জেলা জামায়াত নেতা জনাব আওলাদ হোসেন ও জারজিস হোসাইন।

তিনি আরও বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন জনগণ ঘরে বসে টিভি দেখেছে, অলস সময় কাটিয়েছে। কিন্তু সরকারের অদ্ভূত প্রকৃতির ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে যায়নি। তারা এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্ব এখন পর্যন্ত ডামি নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। বাংলাদেশ একঘরে হওয়ার মুখে পড়েছে। আজ দেশ রাজনৈতিকভাবে মহাসংকটে নিপতিত। দেশকে এই মহাসংকট থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে অবিলম্বে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”