২৭ জানুয়ারি ২০২৪, শনিবার, ৯:২৮

যশোর শহর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে

-মোবারক হোসাইন

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “জগদ্দল পাথরের মত জেঁকে বসা জালিম সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে পাচার করেছে। চুরি-ডাকাতি করে আওয়ামী লীগের দলীয় আমলা এবং লোকেরা বিদেশে বেগম পাড়া তৈরি করেছে। ঘুষ-দুর্নীতি এবং মদ-জুয়ায় গোটা দেশ ভরে গিয়েছে। চুরি-ডাকাতি করে ব্যাংক ও আর্থিক খাত ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে। দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে গিয়েছে। দেশে সুশাসন বলতে কিছু নেই। বিচার ব্যবস্থাকে স্বাধীনভাবে চলতে দেয়া হচ্ছে না। দেশে জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। জনগণকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। এভাবে কোনো দেশ চলতে পারে না।”

২৭ জানুয়ারি শনিবার যশোর শহর সাংগঠনিক জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসূল এর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস এর সঞ্চালনায় দায়িত্বশীলদের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোবারক হোসাইন এসব কথা বলেন। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর বেলাল হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি শামসুজ্জামান ও এ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, রেজাউল করিম, আবদুল্লাহ আল মামুন, শাহাবুদ্দিন, নূর মামুন প্রমুখ।

তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি জিনিসের দাম কয়েক গুণ বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। দিনকে দিন নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে হুহু করে বাড়ছে। নি¤œ আয়ের মানুষগুলো একটু কম পাওয়ার আশায় এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘোরাঘুরি করছে। তাদের চোখে-মুখে অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট। আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকার দলীয় লোকেরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকলেও অদ্যাবধি দেশের মানুষকে একটি সুষ্ঠু বাজারব্যবস্থাপনা দিতে পারেনি। বর্তমান সরকার একটি ব্যর্থ ও অযোগ্য সরকার। তারা দেশটাকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। যে যার মতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। তাই জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এক ব্যক্তির ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। একদলীয় ডামি নির্বাচন করে ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় বসেছে। দেশের জনগণ ভোট প্রদান না করে তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নবগঠিত সরকার ও সংসদের কোনো বৈধতা নেই। গণতান্ত্রিক বিশ্ব ডামি নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না এবং দেশ আজ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মুখে পড়েছে। প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার দেশকে রাজনৈতিক সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। আমি দেশকে রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে তামাশার ডামি নির্বাচন বাতিল করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানাচ্ছি।”