২৬ জানুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ১০:৪৬

চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের প্রাক্তন সদস্য ও সাথীদের নিয়ে শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে আল্লাহর গোলামিয়াতের পথে থাকতে হবে

-ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেছেন, ”আমাদের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যত বাধা-বিপত্তিই আসুক না কেন, তা উপেক্ষা করে আল্লাহর গোলামিয়াতের পথে থাকতে হবে। জীবন দর্শন হিসাবে ইসলামী আদর্শ আজ বিকশিত হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনকে জ্ঞান, বিবেক, ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।”

২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের প্রাক্তন সদস্য ও সাথীদের নিয়ে ভার্চুয়ালি শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর যথাক্রমে ড. আ.জ.ম ওবায়দুল্লাহ, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেন, “বাংলাদেশে আগামী দিনে নতুন সূর্য উদিত হবেই। সম্ভাবনা আমাদের হাতছানি দিচ্ছে। এজন্য হতাশা নয় বরং নির্বাচন পরবর্তী সময়গুলোকে কাজের মৌসুম মনে করে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা অন্তত জরুরি।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম বলেন, “ইকামাতে দ্বীনের কাজ করা ফরজ। এ কাজ করলে জান্নাত আর না করলে আল্লাহর আজাবে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। এই বিশ্বাসের কারণেই আমরা ছাত্র সংগঠনে শপথের কর্মী হয়েছিলাম। আমরা ছাত্র আন্দোলন থেকে বিদায় নিয়ে ব্যস্ত ও সাংসারিক জীবনে এসে আল্লাহর দেয়া নতুন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছি। যে পরীক্ষা মহান আল্লাহ প্রতিটি যুগে মুমিনদের থেকে নিয়েছেন। প্রিয় ছাত্র ভাইদের ভাবতে হবে পর্যালোচনা করতে হবে। আমরা সেই পরীক্ষায় হেরে যাচ্ছি কিনা। শয়তান সামনে পেছনে সবদিক থেকে হামলা করে আমাদের পরাজিত করছে কিনা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আওয়ামী সরকার আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সব কিছু কেড়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের ঈমান পর্যন্ত কেড়ে নিতে পারে। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের চেহারায় এটাই প্রতীয়মান। তারা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ও ভবিষ্যত ধ্বংস করার ডিজাইন তৈরি করেছে।”

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন আমাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে তার কতটুকু আমরা হক আদায় করে পালন করছি। কোরআনের যথাযথ জ্ঞান আমাদের অর্জন করতে হবে। আমাদের মোয়ামেলাত সুন্দর ও চমৎকার হওয়া দরকার। আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল ও বিশ্বাস সুরক্ষিত রাখতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “আল্লাহর দ্বীনের যারা দুশমন তারা বিচক্ষণভাবে চতুর্মুখী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে মুসলিম অধ্যুষিত এই জনপদের গণতান্ত্রিক ধারা ও ইসলামী চেতনা মুছে দিয়ে বাংলাদেশের আদর্শিক গতিপথ বদলে দিতে চায়। তাদের এই অপতৎপরতা সর্বব্যাপী। তাদের রুখে দেয়ার এখনি উপযুক্ত সময়। তাই ইসলামী আন্দোলনে সম্পৃক্ত যারা উচ্চ ডিগ্রি সম্পন্ন করে বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন তাদেরকে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে এর মোকাবেলায় যথাযথ নিরলস ভূমিকা রাখতে হবে। শিক্ষা-সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক ময়দানের পাশাপাশি সকলকে সমাজে ইসলামের মডেল হিসাবে দাঁড় করাতে হবে। যেটি মুসলিম জাতির প্রাণ শক্তি। সর্বোপরি প্রিয় বাংলাদেশে ইসলাম বিজয়ের সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে।