২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১০:১২

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে গণগ্রেফতার ও গণহারে সাজা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক বৈঠক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশীল প্রত্যাখ্যান করে নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।

“দেশের জনগণের মতামত অগ্রাহ্য করে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের একতরফা তফসিল জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যান করছে। সরকার একতরফা ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার হীন উদ্দেশ্যেই তথাকথিত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে তফসিল ঘোষণা করিয়ে দেশকে এক মহাসংকটের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কমিশন মূলত একতরফা তফসিল ঘোষণা করে শাসকদলকে ক্ষমতায় আনার অপকৌশল নিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতসহ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি দেশের জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে পালন করে সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেছে। সরকারের বশংবদ নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা অভিমত ব্যক্ত করছে যে, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত লেভেল প্লেইং ফিল্ড এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমতাবস্থায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির লক্ষ্যে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ বিরোধীদলের সকল শীর্ষ নেতা এবং গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদেরকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা ও সাজানো মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভা-সমাবেশ ও মিটিং করার সুযোগ দিতে হবে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসসহ বন্ধ সকল শাখা অফিস খুলে দিতে হবে।

জামায়াতের মজলিসে শূরা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, মানুষ হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণগ্রেফতার ও গণহারে সাজা দেয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সেই সাথে সরকারের একতরফা ও নীলনকশা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছে।”