৬ অক্টোবর ২০২৩, শুক্রবার, ১০:০৯

পাবনা জেলার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সভা অনুষ্ঠিত

মাওলানা নিজামীর উৎসর্গকৃত জীবন আমাদের প্রেরণার উৎস

-মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী বর্তমান সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করেছেন। মাওলানা নিজামী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং মানুষের মুক্তি ও কল্যাণে সদা তৎপর ছিলেন। দেশের সকল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ভূমিকা অনস্বীকার্য ও স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

৬ অক্টোবর শুক্রবার পাবনা জেলার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পাবনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এসএম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও বেড়া উপজেলা আমীর মাওলানা আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের নমিনি ডা. আবদুল বাসেত খান, সাঁথিয়া উপজেলা আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোখলেছুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবির পাবনা জেলা পূর্বের সভাপতি কামরুল হাসান লিমন প্রমুখ।

মাওলানা আবদুল হালিম আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য ঈমানী পরীক্ষা ও জেল, জুলুম-নির্যাতন অনিবার্য। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের ক্রোধের শিকার হয়ে বিগত ১৫ বছরে মাওলানা নিজামীসহ জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতা এবং শতশত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। কয়েক হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আবদুল খালেক এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ বহু নেতাকর্মী এখনও কারাগারে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। হত্যা, জুলুম নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর কাজকে কখনও বন্ধ করা যায়নি। পুলিশি অভিযান, গ্রেফতার ও বানোয়াট মামলা দিয়ে চলমান আন্দোলন থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরকে নিবৃত্ত করা যাবে না। জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপ দিয়ে জুলুমবাজ সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায় করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

তিনি সংগঠন মজবুতকরণ ও গণসংযোগের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সাঁথিয়া-বেড়ার গ্রাম-পাড়ার প্রতিটি মানুষের নিকট বর্তমান জালেম সরকারের দলন-পীড়ন, হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট ও দুর্নীতিসহ সরকারের চরম ব্যর্থতা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তিনি উপস্থিত দায়িত্বশীলদেরকে সাহস, হিম্মত ও বিচক্ষণতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার আহ্বান জানান।