১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১০:১২

রাজশাহী পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জামায়াতের নেতৃত্বে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে একটি সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হবে

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আমাদেরকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফলপ্রসূ করার জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করতে হবে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে ত্যাগ ও কুরবানির মানসিকতা নিয়ে ময়দানে টিকে থাকতে হবে। জান ও মালের সর্বোচ্চ কুরবানি শাহাদাতের তামান্না অন্তরে পোষণ করতে হবে। জামায়াতের নেতৃত্বে সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে একটি সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। এই লক্ষ্যে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জনগণকে ইসলামের পক্ষে সম্পৃক্ত করে আগামীর নির্বাচন কেন্দ্রিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে।

১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহী পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা আয়োজিত জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল খালেকের সঞ্চালনায় দায়িত্বশীল সমাবেশের প্রধান অতিথি জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, এ বছর আন্দোলন ও নির্বাচনের বছর। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তিকে সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজশাহী হল ইসলামী আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য ঊর্বর এলাকা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীবাসীকে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের ওপর আমাদের যে প্রত্যাশা- আশা করি আগামী নির্বাচনে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাব, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, দাওয়াতি কাজ ও গণসংযোগের মাধ্যামে সংগঠন সম্প্রসারণ ও জনমত গঠন করে চলমান আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামীতে একদফার আন্দোলনে জানমাল বাজি রেখে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্র আমাদের দখলে নিতে হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের রেজাল্ট প্রকাশ অবধি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে। জনগণের দেয়া প্রতিটি ভোট আমাদের জন্য আমানত মনে করে তা রক্ষা করতে হবে। এখন থেকেই সর্বশক্তি নিয়োগ করে নির্বাচনের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

দায়িত্বশীল সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারি সেক্রেটারি যথাক্রমে ড. ওবায়দুল্লাহ, মোঃ তাইফুর রহমান ও কামরুজ্জামান, উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন জামায়াতের দায়িত্বশীলসহ প্রমুখ।