১ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার

কক্সবাজার জেলা জামায়াতের ইউনিয়ন দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে দুনিয়াবী জিন্দেগী পরিচালনা করতে হবে- মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, “পরকাল বা আখিরাত মানুষের শেষ ঠিকানা। মানুষের আমলের ভিত্তিতে পরকালে পুরস্কার অথবা শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। দুনিয়াবী জিন্দেগীতে পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি অনুপস্থিতির কারণে সমাজে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ব্যাভিচার, সুদ, ঘুষ বেড়েই চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। দুনিয়াবী বাহবা কুড়ানোর প্রতিযোগিতার মোহে পড়ে মানুষ মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ব্যাপারে বেপরোয়া হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় আমাদেরকে পরকালীন জবাবদিহিতার অনুভূতি নিয়ে দুনিয়াবী জিন্দেগী পরিচালনা করতে হবে। অন্যথায় আখিরাতে আমাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অবধারিত।”

০১ এপ্রিল’২৪ কক্সবাজার জেলা জামায়াত আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ইউনিয়ন-ওয়ার্ড দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারির সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী ও সহকারী সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ শাহজাহান।

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদী গোষ্ঠী একজোট হয়ে পৃথিবীর দেশে দেশে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারকে পদদলিত করছে। বিশেষ করে ইসলাম ও মুসলিম সেন্টিমেন্ট এর বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ অপপ্রচার ও মানবাধিকার পরিপন্থী কর্মকান্ড চরম পর্যায়ে চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের ছোট্ট শহর গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদীদের আগ্রাসন বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো দীর্ঘ ছয় মাসেও বন্ধ করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সেখানে হাজার হাজার ক্ষুধার্ত শিশু, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় সত্যিকারের মুক্তি, শান্তি, স্বস্তি ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধানে ইসলামী অনুশাসনের কোন বিকল্প নেই। ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পৃথিবীতে চূড়ান্তভাবে ইসলামী শক্তিই বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ । তাই জামায়াতের দায়িত্বশীলদের সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য্য ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কে প্রাধান্য দিয়ে কর্মকান্ড পরিচালনায় ভূমিকা পালন করতে হবে।”

শিক্ষা শিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আমিন, জেলা নায়েবে আমির মুফতি মাওলানা মোঃ হাবিবুল্লাহ, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জাফরউল্লাহ ইসলামাবাদী প্রমূখ।