১। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর একজন আমীর থাকিবেন।
২। জাতীয় কাউন্সিলের সদস্যগণের সরাসরি গোপন ভোটে আমীরে জামায়াত তিন বৎসরের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
৩। নির্বাচিত হওয়ার পর আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচিত সদস্য/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণের উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিকট শপথ গ্রহণ করিবেন।
৪। সকল মা’রুফ (ভাল) কাজে সদস্যগণ (রুকনগণ) আমীরে জামায়াতের আনুগত্য করিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবেন।
৫। (ক) আমীরে জামায়াত যদি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহা হইলে তিনি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া নায়েবে আমীরগণের মধ্য হইতে কোন একজনকে উক্ত সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত আমীর নিয়োগ করিবেন।
(খ) আমীরে জামায়াতের অক্ষমতাকাল ছয় মাসের বেশী হইলে অথবা আকস্মিকভাবে আমীরে জামায়াতের পদ শূন্য হইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে নায়েবে আমীরগণের মধ্য হইতে কোন একজনকে ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্ত করিবেন। এইরূপ নিযুক্ত আমীর অনূর্ধ্ব ছয় মাসের মধ্যে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নতুন আমীর নির্বাচনের ব্যবস্থা করিবেন।
(গ) বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ যুক্তিযুক্ত মনে করিলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে এইরূপ নির্বাচন যুক্তিসঙ্গত সময়সীমা পর্যন্ত স্থগিত করিয়া ভারপ্রাপ্ত আমীরের কার্যক্রম বর্ধিত করিতে পারিবে, তবে এইরূপ স্থগিতকরণ ও কার্যকাল বর্ধিতকরণ গঠনতন্ত্রের স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য আমীরে জামায়াত নির্বাচনের সময়সীমা অতিক্রম করিতে পারিবে না।
(ঘ) কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বিবেচনায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমীরে জামায়াতের নির্বাচন অনুষ্ঠান যদি কিছুতেই সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আমীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অনুমোদন সাপেক্ষে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
৬। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করিবেন। কিন্তু দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত নাই এমন কোন বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরবর্তী প্রথম অধিবেশনের অনুমোদন সাপেক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের পরামর্শক্রমে জরুরি ও সাময়িক পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।