১। দায়িত্ব
(ক) জামায়াতের সংগঠন ও আন্দোলন চালাইয়া যাওয়ার প্রধান দায়িত্ব আমীরে জামায়াতের উপর অর্পিত থাকিবে। আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও জাতীয় কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবেন।
(খ) আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা/কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সহিত পরামর্শ করিয়া জামায়াতের নীতি নির্ধারণ ও সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফায়সালা করিবেন।
২। কর্তব্য
(ক) আমীরে জামায়াত আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আনুগত্য ও আদেশ পালনকে সবকিছুর উপর অগ্রাধিকার দান করিবেন।
(খ) জামায়াতের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে জান-মাল দিয়া চেষ্টা করাকেই নিজের প্রধানতম কর্তব্য বলিয়া মনে করিবেন।
(গ) নিজের কাজ ও স্বার্থের উপর জামায়াতের কাজ ও স্বার্থকে অগ্রাধিকার দান করিবেন।
(ঘ) জামায়াতের সদস্যগণের মধ্যে সব সময়েই নিরপেক্ষতা, ন্যায়পরায়ণতা ও ইনসাফের ভিত্তিতে ফায়সালা করিবেন।
(ঙ) জামায়াতের আমানতসমূহের পূর্ণ হিফাজত করিবেন।
(চ) নিজে জামায়াতের গঠনতন্ত্র মানিয়া চলিবেন এবং তদনুযায়ী জামায়াতের সংগঠন ও শৃঙ্খলা কায়েম করিবার ও কায়েম রাখিবার জন্য পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করিবেন।
(ছ) জামায়াতের সকল সিদ্ধান্তের সঠিক বাস্তবায়ন ও তদারকি করিবেন।
৩। ক্ষমতা ও অধিকার
(ক) আমীরে জামায়াত জাতীয় কাউন্সিল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অধিবেশন এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করিবেন।
(খ) যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হয় এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের বৈঠক আহ্বান করা সম্ভব না হয়, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা কিংবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের যে সকল সদস্যের সহিত যোগাযোগ করা সম্ভব তাঁহাদের সহিত পরামর্শ করিয়া পদক্ষেপ গ্রহণ করিবেন।
(গ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার পরামর্শক্রমে নায়েবে আমীর, সেক্রেটারী জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বিভাগীয় সেক্রেটারী নিয়োগ ও অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবেন।
(ঘ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার আরোপিত বাধ্যবাধকতার অধীন জামায়াতের সম্পদ ও সম্পত্তি ব্যয়-ব্যবহার করিতে পারিবেন।
(ঙ) জামায়াতের সদস্যপদ (রুকনিয়াত) মঞ্জুর ও বাতিল করিতে পারিবেন।
(চ) অধঃস্তন সংগঠন স্থগিত করিতে কিংবা ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবেন।
(ছ) জামায়াতের বাইতুলমাল হইতে জামায়াতের কাজে অর্থ ব্যয় করিতে পারিবেন।
(জ) প্রয়োজনবোধে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সময়কাল অনূর্ধ্ব তিন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন। তবে কোন কারণে যদি এরপরও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার নির্বাচন অসম্ভব হইয়া পড়ে তাহা হইলে উক্ত কারণ দূর না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সময় কাল বর্ধিত করিতে পারিবেন।
(ঝ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য নন এমন কোন সদস্যকেও মজলিসের বৈঠকে শরীক করিতে পারিবেন।
(ঞ) কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার বৈঠকে মজলিসে শূরার সদস্য নন এমন সদস্যের শরীক হওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করিতে পারিবেন।
(ট) নিজের ক্ষমতা ও অধিকারের কোন অংশ অপর কাহাকেও অর্পণ করিতে পারিবেন।