১। আমীরে জামায়াত যদি সদস্যপদের (রুকনিয়াতের) যোগ্যতা হারাইয়া ফেলেন অথবা কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্যগণের বিবেচনায় অধিকাংশ সদস্যের আস্থা হারাইয়া ফেলেন, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা নিম্ন উপধারা অনুযায়ী তাঁহাকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
২। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার এক-তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক আমীরে জামায়াতের নিকট লিখিতভাবে তাঁহার প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ প্রদানের এক মাসের মধ্যে আমীরে জামায়াত কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন আহ্বান করিয়া উক্ত প্রস্তাব বিবেচনার জন্য পেশ করিবেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার দুই তৃতীয়াংশ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে এবং আমীরে জামায়াত তাহা মানিয়া লইলে আমীর পদ তৎক্ষণাৎ শূন্য হইবে। কিন্তু আমীরে জামায়াত মজলিসে শূরার সিদ্ধান্ত মানিতে না পারিলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য অনধিক এক মাসের মধ্যে তাহা জাতীয় কাউন্সিলে পেশ করিতে হইবে। জাতীয় কাউন্সিলের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য আমীরে জামায়াতের বিপক্ষে ভোট দিলে আমীর পদ তৎক্ষণাৎ শূন্য হইবে এবং বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৫নং ধারার ৫নং উপধারায় খ অনুচ্ছেদ মোতাবিক কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ বৈঠক ডেকে ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্তির ব্যবস্থা করিবেন।
তবে জাতীয় কাউন্সিলের অধিকাংশ সদস্যের ভোটে আমীরে জামায়াত যদি নিজ পদে বহাল থাকেন তাহা হইলে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণকারী মজলিসে শূরা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং অনধিক তিন মাসের মধ্যে নুতন মজলিসে শূরা নির্বাচন করিতে হইবে। ইহার পূর্ব পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ/কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার কাজ চালাইয়া যাইবে।