২৮ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ১১:০২

ইসি চাবি খাইয়া ঘুরতে আছে

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : ’৭০-এর দশকে হাইকোর্টের মাজারে নূরা পাগলার বিখ্যাত জনপ্রিয় গান ছিল, যা তরুণ সমাজের মুখে মুখে থাকতো। সে গানটির শুরুটা হলো : ‘মন আমার দেহ ঘড়ি, সন্ধান করি, কোন মিস্তরি বানাইয়াছে/একটা চাবি মাইরে দিছে ছাইড়্যা জনম ভইরা ঘুরতে আছে।’ এসব মারফতি আরো অনেক গান তখন নূরা পাগলা গেয়েছিলেন। সে সব গান শোনার জন্য হাইকোর্টের মাজারে রাতে তরুণ সমাজ ভিড় জমিয়েছে। এখন একবিংশ শতাব্দির এই দ্বিতীয় শতকে এসে একই রকম চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেটা নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে, এই কমিশন এমন সব আচরণ করছে, যার কোনো কিছুই তাদের নিরপেক্ষতার প্রমাণ বহন করে না। এ পর্যন্ত অনেক নির্বাচনই এই কমিশন করেছে, তার কোনোটাই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় নাই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি করপোরেশন পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তার সর্বত্রই কারচুপি, দুর্নীতি ব্যাপকভাবে চলেছে। ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট, একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেয়া, ব্যালট পেপারে সিল মারা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই এ সবই ছিল সে সব নির্বাচনের স্বাভাবিক চিত্র। তাতে মনে হচ্ছে, ক্ষমতাসীন সরকার এই নির্বাচন কমিশনকে চাবি মাইরা ছাইড়া দিছে আর এরা শুরু থেকেই ঘুরতে আছে। কমিশন কখন যে কি কথা বলছে, সেটিও এলোমেলো। তারা যেসব নির্দেশনা দিচ্ছে সেগুলো অযৌক্তিক এবং গ্রহণের সম্পূর্ণ অযোগ্য। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভেতরেও কখনো কখনো মতভেদ দেখা যায়। সেটি এখন আর গোপন নেই, কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সরকারি আমলা, মুক্তিযুদ্ধেও রয়েছে তার বিরাট ভূমিকা। চাকরি জীবনে সততার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। তার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সম্প্রতি পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উল্লেখ করেছেন। তার একটি বরিশাল সিটি করপোরেশন নিয়ে। এ সম্পর্কে তার লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দায়িত্বে এককভাবে আমি ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব চাইতে খারাপ অবস্থা ছিল বরিশালে। সকালে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম বেশ ভাল ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে বিভিন্নমুখী অনিয়ম শুরু হয়। বেলা ১১টার মধ্যে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়, এভাবে ভোট গ্রহণ চলতে পারে না। মাননীয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারকে আমি জানাই, বরিশালের ভোট কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। এক পর্যায়ে কমিশনারদের সবাই ভোট বন্ধ করার বিষয়ে একমত হলেও নির্বাচন বন্ধ করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে কি না এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হবে কি না, ভেবে নির্বাচন বন্ধ করা থেকে আমরা বিরত থাকি। ইতিমধ্যে ৬ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন এবং একজন প্রার্থী প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে বিজয়ী হন।’
তিনি বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে পরে নির্বাচন কমিশনের যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় তার সামনে রিটার্নিং কর্মকর্তারা যে বক্তব্য দেন তার ক্রিয়দাংশ তুলে ধরছি : ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরোধী প্রার্থীদের পুলিশ কর্তৃক অযাচিতভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের প্রার্থীর আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় পুলিশকে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, উল্টো বিরোধী প্রার্থীর প্রচারণায় পুলিশের অযাচিত হস্তক্ষেপ রয়েছে।’ অন্যদিকে নির্বাচনের সার্বিক পর্যালোচনায় তদন্ত কমিটির বক্তব্য : ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না এবং ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন না। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় কোনো পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেননি। ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচনী এলাকায় অনেক ক্ষেত্রেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল নাজুক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অনেক ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসরণ করেননি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোট কেন্দ্রে ও ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর বহিরাগতের অবস্থান ছিল।’ প্রায় ৫ হাজার পৃষ্ঠার সংযুক্ত ডকুমেন্টসহ টাইপ করা ৭১ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত রিপোর্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি ২টি স্থান উদ্ধৃত করলাম।’’ তবে সে তদন্ত রিপোর্টটি আলোর মুখ দেখেনি।
মাহবুব তালুকদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমানে বহুল প্রচলিত গায়েবি মামলা এখনো আর গায়েবি আওয়াজ নয়। মাননীয় হাইকোর্ট পর্যন্ত এ ধরনের মামলায় পুলিশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় বলে উল্লেখ করেছেন। ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহোদয় পুলিশ বাহিনীকে গায়েবি মামলা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন তারপরও অনেক ক্ষেত্রে এরূপ মামলা চালু রয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো শিডিউল ঘোষণার পূর্বে যে পুলিশ গায়েবি মামলা করেছে শিডিউল ঘোষণার পর তার পক্ষে রাতারাতি পাল্টে গিয়ে নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা কতোটুকু সম্ভব? এ প্রশ্ন মনে জাগে। পুলিশ বাহিনী নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। কিছু সংখ্যক গায়েবি মামলার আসামিদের তালিকা বিরোধী দল থেকে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে যদিও অধিকাংশ পুরনো মামলা। এসব মামলার অজ্ঞাতনামা আসামিদের অনেকের আদালত থেকে জামিন নেয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কোনো কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে তারা নির্বাচনী প্রচার কাজ চালাতে ভয় পাচ্ছেন। এহেন ভীতি সর্বক্ষেত্রে অমূলক নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনাকে স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নির্বাচনপূর্ব সময়ে প্রার্থীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এ সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পরিপালন করা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সম্প্রতি মিডিয়ায় যে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে তা হলো নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহে পুলিশ ২ মাস পূর্ব থেকে মাঠে নেমেছে। তারা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের বিষয়ে নানা তথ্য সংগ্রহ করছে ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পত্রিকামতে এই তথ্যানুসন্ধান বিষয়ে পুলিশকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয় নাই। কমিশন নির্বাচন কর্মকর্তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনো নির্দেশনা দেয় নাই। সুতরাং এসব কর্মকা- কে কী উদ্দেশ্যে করেছে তা রহস্যজনক। বলা বাহুল্য অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ সদস্যের কর্মকা-ে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনের উপরে এসে পড়ে।’
এটি এক দিকের ভাষ্য, অপর দিকের ভাষ্য ভিন্নরূপ। ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও ২৩ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে তাদের বদলির কথা বলছিলেন তখন প্রধান নির্বাচন কমিশন চাবি খাওয়া দেহ ঘড়ির মতো চক্কর খেতে থাকলেন। তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ওই কর্মকর্তাদের দলীয় ক্যাডারের মতো আশ্বস্ত করলেন যে, বিএনপি তালিকা দিলেই সে অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না। আপনারা নির্ভয়ে কাজ করে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোর আমলে যে কয়টি জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, তখন আমরা দেখেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় বসেই আগের সরকারের সাজিয়ে যাওয়া প্রশাসনের ব্যাপক রদবদল করেছেন। সেটি করা হয়েছে নির্বাচনে নিরপেক্ষতার জন্য। সাজানো ছক ভেঙে দেয়ার জন্য। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন নিরপেক্ষ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ রূপে নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওপর। সে দায়িত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোটেই পালন করতে পারছেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও মূল বিরোধী দল এ ব্যাপারে বার বার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। সেই প্রেক্ষিতেই গত রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে সরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা আগেও সিইসির প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি, আমরা তার সঙ্গে কথা বলেও সন্তুষ্ট নই। এ জন্য আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তন চাই। আমাদের দাবি হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পরিবর্তে একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হোক। ড. কামাল হোসেন বলেন, তিনি একজন বয়স্ক মানুষ ও সিনিয়র অফিসার। আমি আগেও বলেছি আপনার ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। ২০ দলীয় জোটও প্রায় একই কথা বলেছে। কোনো ক্ষেত্রেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না।
নির্বাচন কমিশনের সেনা মোতায়েন ও পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। কমিশন নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের যেসব বিধি বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাতে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম অর্থহীন হয়ে পড়ে এবং এতে আগ্রহও হারানোর আশঙ্কাই বেশি। কমিশন বলছে পর্যবেক্ষকগণ রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভেতরে যাই ঘটুক না কেন তারা কোনো ছবি তুলতে পারবেন না। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না, একেবারে নিশ্চল মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকবেন। দেশীয় পর্যবেক্ষকদের কমিশন এই বলে হুমকি দিয়েছে যে, পর্যবেক্ষণ সংস্থার অধিকাংশ এনজিও। তাদেরকে এনজিও ব্যুরোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হয়। যদি কোনো পর্যবেক্ষক এই নিয়ম-কানুন না মানেন, তবে এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমে তাদের মূল সংস্থার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে অর্থাৎ এনজিওটির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে। তাহলে আর পর্যবেক্ষণের মানে কি? আর এরকম অপমানজনক শর্তে কোনো বিদেশী সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য লোক পাঠাবে না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দেশীয় পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল দেড় লাখের মতো। আর বিদেশী পর্যবেক্ষক ছিলেন ৮০০। কিন্তু এবার এসব শর্তারোপের কারণে সেই ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের ভূমিকাকে নির্বাচন কমিশন নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইছে। সাংবাদিকদের ক্ষেত্রেও তারা একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এর কোনোটিই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুকূল নয়।

সেনা মোতায়েন নিয়েও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য উল্টাপাল্টা। কখনো তারা বলছেন, সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে মোতায়েন থাকবে। সেনাবাহিনী যদি টহল দিতে না পারে, যদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে হাজির হতে না পারে, যদি তারা নির্দিষ্ট স্থানে ক্যাম্প করে বসে থাকেন তাহলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না করা সমান হবে। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে তেমন কিছু বলা হয় নাই। যদিও রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ বার বার বলছে যে, এটি সুস্পষ্ট হওয়া দরকার। সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসী পাওয়ারও দেয়া দরকার। কিন্তু আওয়ামী চাবিতে চক্কর খাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে চুপটি করে বসে আছেন। সম্ভবত তিনি তার মেনটর সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে আছেন, তারা কি নির্দেশনা দেয় সে নির্দেশনাই পালন করার জন্য। এটি ভাল লক্ষণ নয়। এবারের নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় তাহলে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।

http://www.dailysangram.com/post/355044