৩ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ১০:২০

ভারতীয় নাগরিকেরা তথ্য গোপন করে বান্দরবানে ঢুকছে

মোনালিসা ভট্টাচারিয়া নামে এক ভারতীয় তথ্য গোপন করে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ভ্রমণের সময় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েন। গতকাল শুক্রবার তাকে চিম্বুক পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে পুলিশে হন্তান্তরের পর জেলার বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। গত এক সপ্তাহে তথ্য গোপন করে বান্দরবান ভ্রমণের সময় এ রকম আরো সাতজন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তথ্য গোপন করে বিদেশীদের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়িয়েছে। পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, বান্দরবান শহরে প্রবেশ করার জন্য বান্দরবান কেরানীরহাট সড়কের রেইছা ও রাঙ্গামাটি কাপ্তাই সড়কের ডলুপাড়া এলাকায় দু’টি চেকপোস্ট রয়েছে। এসব পোস্টে বান্দরবানে আসা বিদেশী নাগরিকদের বিষয়ে তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশী নাগরিক পার্বত্য এলাকায় প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু ভারত বিশেষ করে পশ্চিবঙ্গের লোকজন বাংলা ভাষায় কথা বলায় তাদের বিষয়ে তথ্য যাচাই করা কষ্টকর। অনেক সময়ে তারা ঝামেলা এড়াতে চেকপোস্টগুলোতে তথ্য না দিয়েই পার্বত্য এলাকা ভ্রমণ করে। এ বিষয়টি এখন প্রশাসনের নজরে এসেছে। চেকপোস্টগুলোতে বাড়তি সতর্কতা নেয়া হয়েছে। অধিকতর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর পর্যটন কেন্দ্র নীলগিরি থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনার মাজেদুল হক মণ্ডল, একই এলাকার নজরুল হক মণ্ডল, কলকাতার বিবি ফরিদা, একই এলাকার আসমিফ মণ্ডল, আমিনা মণ্ডল, মহিউদ্দিন মোল্লা ও সাহিল হোসাইনকে আটক করে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সদস্যরা। পরে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তরের পর জেলার বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তারা বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা ইমনুর রহমানের সাথে তথ্য গোপন করে বান্দরবানে বেড়াতে আসে। এ দিকে চেকপোস্টগুলোতে তথ্য যাচাই-বাছাই বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ হয়রানিতে পড়ছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম জানান, চেকপোস্টগুলোতে যাত্রীবাহী বাস ও নিজস্ব যানবাহনসহ সব ধরনের যানবাহনের লোকজনদের তথ্য নেয়া হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের বিষয়ে সতর্কতা গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনো বিদেশী প্রবেশ করতে না পারে।

http://www.dailynayadiganta.com/first-page/361954