৩ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২৬

চার মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ৭৩ জন গুম ১৪ জন

গত চার মাসে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছেন ৬৯ জন। গত এক মাসেই ক্রসফায়ারে নিহত হন ২৮ জন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। গত চার মাসে গুমের শিকার হন ১৪ জন।
অধিকার গতকাল এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার বিরোধী মিছিল-সমাবেশে বাধা প্রদান এবং গ্রেফতারের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। অধিকার অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসঙ্ঘের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানায়।

অধিকারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হন, গত চার মাসে দেশে ৭৩ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হন ৬৯ জন। গুলিতে দুজন এবং নির্যাতনে মারা গেছেন দুজন। নিহতদের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৯ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭ জন, মার্চে ১৮ জন এবং এপ্রিলে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ২৯ জন। এই সময়ে গুমের শিকার হন ১৪ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে একজন, মার্চে পাঁচজন এবং এপ্রিলে গুম হন দুজন। গত চার মাসে কারাগারে মারা গেছেন ২৭ জন। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে পাঁচজন, মার্চে ৯ জন এবং এপ্রিলে মারা গেছেন সাতজন।

অধিকার বলেছে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। অধিকারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বিএসএফের হাতে চার মাসে তিন বাংলাদেশী নিহত হন। জানুয়ারি মাসে দুইজন এবং ফেব্রুয়ারিতে একজন নিহত হন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৯ জন, অপহৃত হয়েছেন তিনজন। চার মাসে ২১ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। লাঞ্ছিত হন সাতজন, হুমকির সম্মুখীন হন ছয়জন।

চার মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। আহত হন ১৮ শ’ চারজন। চার মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২৫১ জন নারী-শিশু। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৪৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৮টি, মার্চে ৬৬টি এবং এপ্রিলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৬১টি। এই সময়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ৭৭ জন নারী। আর যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৬৪ জন। গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ২০ জন।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/315066