১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫৭

একাদশে ভর্তি শতভাগ মেধায় কোটা পরে

একাদশ শ্রেণীতে এবার ভর্তি হতে হবে মেধাতালিকা অনুসারে। ভর্তির সরকারি কোটায় প্রার্থীরা অতিরিক্ত হিসেবে ভর্তি হতে পারবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ কোটা রয়েছে। এরা মোট আসনের অতিরিক্ত হিসেবে ভর্তির এ সুযোগ পাবে। তবে এসব কোটায় উপযুক্ত শিার্থী পাওয়া না গেলে অন্য কাউকে ভর্তি করা যাবে না। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, দায়ী প্রমাণিত প্রতিষ্ঠান ও এর প্রধানকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

এ ছাড়া মেধাতালিকায় নির্বাচিত হওয়ার পরও ভর্তি নিশ্চিত না করলে আবার আবেদন করতে হবে। এরূপ একটি বিধানকে যুক্ত করে ২০১৮ সালে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে গতকাল। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ভর্তির এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। এ নীতিমালা অনুসরণ করেই আগামী ৬ মে প্রকাশিতব্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। ভর্তির আবেদন করতে হবে অনলাইনে আগামী ১১ মে থেকে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির কোটা হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ৫ শতাংশ, বিভাগীয় ও জেলা সদর ৩ শতাংশ, শিা মন্ত্রণালয়ের অধস্তন দফতরগুলো ২ শতাংশ, বিকেএসপি ০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশসহ মোট ১১ শতাংশ।

একাদশ শ্রেণীতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন করতে হবে বিগত দুই বছরের মতো অনলাইনে। সে ক্ষেত্রে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী অনলাইনে সর্বনি¤œ পাঁচটি কলেজে এবং মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে আরো পাঁচটিসহ মোট ১০টি কলেজে ভর্তির জন্য পছন্দ নির্ধারণ করে আবেদন করতে পারবে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। মোবাইল ফোনে প্রতি এসএমএসে একটি করে কলেজে আবেদন করা যাবে। এর জন্য ১২০ টাকা দিতে হবে। তবে এসএমএস এবং অনলাইন মিলিয়ে কোনো শিার্থী ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে না এবং পছন্দক্রম অনুযায়ী একটি কলেজে ভর্তির অনুমোদন দেয়া হবে।

একাদশ শ্রেণীতে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তিকার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৩ মে এবং চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। ভর্তিকার্যক্রম ২৭ জুন থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ জুনের মধ্যে। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ শিক্ষবর্ষে একাদশ শ্রেণীর কাস শুরু হবে ১ জুলাই ’১৮ থেকে।
অনলাইনে এবং এসএমএসের মাধ্যমে আবেদনের পর শিক্ষা বোর্ড থেকে যে ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হবে, সে অনুসারে ভর্তির পর নিশ্চয়ন করতে হবে। ভর্তি নিশ্চয়ন না করা হলে অর্থাৎ ভর্তি না হলে, তাকে আবার নতুন করে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো বিগত বছরগুলোর মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছেÑ স্কুল সংযুক্ত কলেজগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের আগে ভর্তির পর খালি আসনের আবেদন বিবেচনা করবে। ভর্তি ফি, সেশন চার্জ অপরির্তিত রাখা হয়েছে। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের রসিদ দিতে হবে। তবে এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিধিমত শাস্তির আওতায় আনার কথা বলা হলেও, বিগত বছরগুলোতে কোনো ধরনের শাস্তির কথা শোনা যায়নি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘ভর্তি নীতিমালা চূড়ান্ত করণ’-শীর্ষক এ বৈঠকে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি শিাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/314871