১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার, ৯:৫২

বজ্রপাতের প্রাণহানি আশংকাজনক বৃদ্ধি

দেশে প্রতিবছর বজ্রাঘাতে গড়ে দু’শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। আহতের সংখ্যা অসংখ্য। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৫০ জনের অধিক মানুষ মারা গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। বজ্রপাতের পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির মাত্রাও যেন বেড়েই চলেছে। একেক শিলার ওজন ৫শ’ গ্রাম থেকে প্রায় এক কেজি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ওজনের শিলার আঘাত পেলে মারাত্মক আঘাত পাওয়া এবং মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক। তাই বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির সময় আভাস পাওয়া গেলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছর প্রথম বড় ধরণের ঝড় ও শিলাবৃষ্টির ঘটনা ঘটে গত ৩১ মার্চ শনিবার। সেদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরপর দু’দিনে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝড় ও বজ্রাঘাতে শতাধিক মানুষ আহত হন। সবজিক্ষেত, তামাক, বোরো ও ভুট্টাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝরে পড়েছে আম-লিচুর মুকুল। উপড়ে গেছে শত শত গাছপালা।
জানা গেছে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বজ্রপাতের সংখ্যা ও প্রাণহানির দিক দিয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। অন্য দেশের তুলনায় মৃত্যুহারও এখানে বেশি। এমন বক্তব্য রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের (এসএমআরসি) বিজ্ঞানী মো. আবদুল মান্নানের। অন্যদিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইটনিং সেফটি ইনস্টিটিউটের’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, প্রতিবছর সারা বিশ্বে বজ্রপাতে যত মানুষের মৃত্যু ঘটে, তার এক-চতুর্থাংশ ঘটে বাংলাদেশে। আর এসএমআরসি’র তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪০টি বজ্রপাত হয়। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের গবেষকদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিবছর বজ্রপাতে মারা যায় ৫০০ থেকে ৮০০ মানুষ। দুর্যোগবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুরো বৈশিষ্ট্য নিয়েই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে। অবশ্য বজ্রপাতকে এখনো সরকারিভাবে দুর্যোগের তালিকাভুক্ত করা হয়নি। ফলে বজ্রপাতে নিহতদের পরিবার সরকারিভাবে তেমন ক্ষতিপূরণ পায় না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ফোরাম, গণমাধ্যমের তথ্য ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাব মতে, গত ৫ বছরে সারা দেশে বজ্রপাতে ৩ হাজারেও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। যদিও পরিসংখ্যানে সঠিক তথ্যটি আসেনা বলেই মনে করনে কেউকেউ। তাদের মতে, এই নিহতের সংখ্যা আরও বেশী হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, গত ৭ বছরে (২০১২-২০১৮) সারা দেশে ৬ হাজার ৮৭২টি বজ্রপাত হয়। এর মধ্যে ২০১১ সালে ৯৭৮, ২০১২ সালে ১ হাজার ২১০, ২০১৩ সালে ১ হাজার ৪১৫, ২০১৪ সালে ৯৫১ ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ২১৮ বার, ২০১৬ সালে ১৩২৬ বার, ২০১৭ সালে ৮৫০ বার এবং চলতি বছরের প্রথম চার মাসে আট শতাধিক বার বজ্রাঘাত হেনেছে বাংলাদেশে।

বজ্রপাত নিয়ে কাজ করে দুর্যোগ ফোরাম। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে ২৬৫ জন। ২০১৬ সালে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৩৫০ জন। এদের মধ্যে ২২০ জন পুরুষ, ৫১ জন মহিলা ও ৭৯ জন শিশু রয়েছে। ২০১৫ সালে ৫৪ শিশু, ৩৬ নারী, ১৮৪ পুরুষ মিলিয়ে ২৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। ২০১৪ সালে ৩৯ শিশু, ২৮ নারী ও ১৪৩ পুরুষ মিলিয়ে ২১০, ২০১৩ সালে ৫৫ শিশু, ৫৩ নারী ও ১৭৭ পুরুষহ ২৮৫ জন মারা যায়। ২০১২ সালে মারা যায় ৩০১ জন, এর মধ্যে রয়েছে ৬১ শিশু, ৫০ নারী ও ১৯০ পুরুষ। ২০১১ সালে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৩১ শিশু, ২৮ নারী ও ১২০ পুরুষ। এছাড়া ২০১০ সালের বজ্রপাতে মারা যায় ১২৩ জন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংস্থাটি এই প্রতিবেদন তৈরি করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দেশে বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ নিয়ে সরকারি উদ্যোগে তেমন কোনো গবেষণা নেই। তবে পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামান্য বৃষ্টিপাত বা ঝড়ো বাতাসেও ঘটছে বজ্রপাতের ঘটনা। এ অস্বাভাবিকতার কারণ হিসেবে তারা ‘কালো মেঘ’ বেড়ে যাওয়াকে চিহ্নিত করেছেন। কালো মেঘ সৃষ্টির পেছনে বাতাসে নাইট্রোজেন ও সালফার গোত্রের গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই সালফার গোত্রের গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকার প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে ৬৪-১৪৩ মাইক্রোগ্রাম সালফার ডাই-অক্সাইড বিদ্যমান। আর প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড রয়েছে ২৫-৩২ মাইক্রোগ্রাম, যা স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। এটিই বজ্রপাতকে ত্বরান্বিত করে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরের টাওয়ারকেও বজ্রপাতের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন কেউ-কেউ। দেশের প্রবীণ নাগরিকরাও বলছেন, তাদের জীবদ্দশায় এত বজ্রপাতের ঘটনা তারা দেখেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে বজ্রপাত অন্তত ১৫ শতাংশ এবং ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ৫০ শতাংশেরও বেশি হতে পারে। কয়েকটি দেশের হিসাব কষে এই ফল দেওয়া হয়েছে। কঙ্গোয় ভূমি থেকে এক হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় কিফুকা পর্বতের এক গ্রামে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় বছরে প্রতি বর্গকিমিতে দেড়শ’ বার। পরবর্তী অবস্থানে আছে ভেনিজুয়েলা উত্তর ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা। বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪৫ বার বজ্রপাত হয়। সেই হিসাবে বছরে এ সংখ্যা প্রায় দেড়শ’ কোটি বার। বিশেষজ্ঞদের মতে, আকাশে মেঘ হলে তার ২৫ থেকে ৭৫ হাজার ফুটের মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে। এ এলাকায় তড়িৎ প্রবাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ ঘটে। এখানে খাড়াভাবে যে বজ্রপাতের সৃষ্টি হয় তার তাপমাত্রা ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট। বজ্রপাতের গতিও প্রতি সেকেন্ডে ৬০ হাজার মিটার বেগে নিচে বা ওপরের দিকে চলে যায়। ফলে এ পরিমাণ তাপসহ বজ্রপাত মানুষের দেহে আঘাত হানার সঙ্গে-সঙ্গেই মৃত্যু হওয়া স্বাভাবিক।
বজ্রপাতের কারণ ও প্রকৃতি সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, একেকটি বজ্রপাতের সময় প্রায় ৬০০ মেগাভোল্ট বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। বাসাবাড়িতে আমরা যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি তার মতা মাত্র ২২০ ভোল্ট। শিল্পকারখানায় ১২শ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। আর জাতীয় গ্রিডে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য মাত্র ১১০ ভোল্ট বিদ্যুৎ যথেষ্ট। গ্রামাঞ্চলে বজ্র প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করে বিশাল বৃক্ষ। এই বড় গাছ এখন খুবই কম। কালেভদ্রে বিশাল বট-পাকুড় আম জাম শিমুল কাঁঠাল গাছ চোখে পড়ে। বৃষ্টির সময় বিদ্যুতের ঝলকানি ও মেঘের গর্জনের মধ্যে গৃহবধূ উঠানে কাজ করে। কৃষক মাঠে থাকে। খোলা মাঠে ও উঠানে বিদ্যুৎ-আক্রান্ত হয় বেশি। বর্তমানে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আকাশে ঝলসানো বিদ্যুৎ এসব ধাতব বস্তুর সংস্পর্শে দ্রুত চলে আসে। বাংলাদেশে বজ্রপাতের হার বেড়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিনে-দিনে বাড়ছে তা রোধে কোনো ব্যবস্থা নেই। সচেতনতাও গড়ে তোলা হয়নি। ভূমিকম্পের সময় কী করণীয় তার প্রচার হয়। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো ধারণাও দেওয়া হয় না। তবে আকাশে ঘনকালো মেঘ দেখার সঙ্গেই প্রস্তুতি নেয়া, মেঘের ডাক শুনলেই নিরাপদে যাওয়া। পাকা বাড়ি সাধারণত নিরাপদ। ফসলের মাঠ, ফাঁকা মাঠ, উঠান, সৈকত, পাহাড়, গাছের নিচে বিদ্যুতের খুঁটির নিচে দাঁড়ানো বা নিচে দিয়ে যাওয়া বিপজ্জনক। বজ্রপাতের সময় ধাতব বস্তু স্পর্শ করা ঠিক নয়। এমনকি টিভি ফ্রিজ পানির মোটর বন্ধ থাকলেও তার স্পর্শ থেকে সাবধানে থাকা ভালো। এ সময় বৈদ্যুতিক ঝর্ণায় গোসল করা ঠিক নয়। পাকা বাড়ি হলেও তার ধাতব জানালায় হাত রাখা বিপদ হতে পারে। বিদ্যুতের সুইচ অফ রাখা বাঞ্ছনীয়। তারযুক্ত ফোন এবং মোবাইল ফোন ব্যবহারও ঠিক নয়। কারণ মোবাইল ফোনের টাওয়ার বজ্রপাত টেনে নেয়।

বজ্রপাতের ভয়াবহতা ও প্রতিকারে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে গবেষণার জন্য ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত সার্ক মিটিওরোলজিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (এসএমআরসি)-এর গবেষণায় জানা যায়, দেশে বজ্রপাতের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বাড়ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ বজ্রপাতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি, নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বাড়ির দুর্বল অবকাঠামো তৈরি, বজ্রপাত বিষয়ে অজ্ঞতা ও দরিদ্রতার কারণে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে পাঠ্যবইতে এ বিষয়ে শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা এবং বিলবোর্ড, পোস্টার ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন।

আবহাওয়া অধিদফতর মূত্রে জানা যায়, সময় ও এলাকা ভেদে বজ্রপাতের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। তবে আবহাওয়া অধিদফতরে বজ্রপাতের পূর্বাভাস পাওয়ার কোনো সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি নেই। এমনকি বজ্রপাত সংক্রান্ত কোনো গবেষণাও এ পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদফতরের কাছে নেই। অধিদফতর কেবল সংবাদপত্র দেখে বজ্রপাতে মৃত মানুষের সংখ্যার রেকর্ড সংগ্রহ করে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তাইফুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ দূষণের কারণে বজ্র পাতে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এ জন্য মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণকেও দায়ী করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওগ্রাফি ও এনভায়রন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এম এম আমানত উল¬াহ খান বলেন, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে হঠাৎ করে শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো এশিয়ায় এ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা গবেষণা করে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, রেকর্ড অনুযায়ী ১৯৮১ সাল থেকে দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিও কারণেই এটা হচ্ছে। প্রতি বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে বেশী। এ কারণে এবার বজ্রপাতের সংখ্যাও বেশি।
আবহাওয়াবিদ শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বায়ুম-ল উত্তপ্ত হয়ে আছে। এ কারণে জলীয়বাষ্প যখন এর সংস্পর্শে আসছে বজ্রপাতও আগের তুলনায় বেশি হচ্ছে। তিনি জানান, বজ্রমেঘ বা সিভি ক্লাউডের কারণে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সতর্কতার বিকল্প নেই মন্তব্য করে শামীম হাসান বলেন, বজ্রপাত থেকে বাঁচতে হলে মে মাসে যখন আকাশে বিজলি চমকাবে তখন খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না। বজ্রপাতের সময় বড় গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। ভেজা কাঠ বিদ্যুৎ পরিবাহী। বড় গাছ এড়িয়ে বৃত্তাকারে এর ৪০ ডিগ্রি দূরে দাঁড়ানো উচিত। ফাঁকা স্থানে থাকলে বজ্রপাতের সময় উবু হয়ে বসে যেতে হবে। নৌকায় বা পানিতে থাকলে শুকনো স্থানে চলে যেতে হবে। গাড়ির চাকা বিদ্যুৎ কুপরিবাহী রাবারের তৈরি। সে কারণে গাড়ি নিরাপদ। বাসাবাড়িতে বজ্রনিরোধক তার সংযুক্ত করতে হবে নিরাপত্তার জন্য।

http://www.dailysangram.com/post/328833