২৯ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার, ১২:০৬

জাতীয়করণ ইস্যুতে ফের মাঠে নামছেন শিক্ষকরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে আবারো মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন সরকার সমর্থিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। আসন্ন বাজেটে জাতীয়করণের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান তারা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষকদের ১০ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সমন্বয়ক আসাদুল হক বলেন, গত ১৪ই মার্চ শিক্ষকদের সমাবেশে সাতদিনের সময় নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন বলে জানান। দাবিগুলো সরকারিভাবে আশ্বাস দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

তাই আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। বাজেটে জাতীয়করণে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। শিক্ষক নেতারা বলেন, মাত্র ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা সম্ভব। কিন্তু আমলারা এটাকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে আরো বড় অঙ্কের কথা বলে আটকে দিচ্ছে। এক সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয়করণের পক্ষে বলেও এখন তিনি থেমে গেছেন। এ ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর কোনো ভূমিকা নেই অভিযোগ করে তারা বলেন, উল্টো শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের কটাক্ষ করে কথা বলেন। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, শিক্ষানীতির আলোকে আমরা ১১ দফার জন্য আন্দোলন করছি। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব মহলেই আমাদের যৌক্তিক দাবি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। অথচ আমাদের দাবি পূরণে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শিক্ষকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান, অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি, প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের অনুরূপ প্রদান, অবসর সুবিধা ও কল্যাণ বোর্ড বিলুপ্ত করে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু করা ইত্যাদি। নতুন কর্মসূচির মধ্যে আছে আগামী ১০ই মে ঢাকাসহ সব জেলায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি, ২৬শে জুন দেশের সব জেলায় সমাবেশ ও দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল। বাজেট ঘোষণার পর পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হক ছাড়াও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি ফকরুদ্দীন জিগার, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহসীন রেজা, মহাসচিব ইয়াদ আলী খান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ এমএ আওয়াল সিদ্দিকী, বিলকিস জামান, সৈয়ক জুলফিকার আলম, মো. আজিজুল ইসলাম, মো, আবুল কাশেম প্রমুখ।

http://mzamin.com/article.php?mzamin=115273