২৮ এপ্রিল ২০১৮, শনিবার, ৮:১৬

বাড়ছে সব ধরনের মুরগির দাম

রমজাননির্ভর পণ্যের দাম এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল

বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। রমজান আসতে এখনও তিন সপ্তাহ বাকি। কিন্তু শবেবরাত উপলক্ষে বাজারে রমজাননির্ভর পণ্যের বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এ বছর চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় এখন পর্যন্ত রমজাননির্ভর পণ্য ছোলা, ডাল, চিনি, ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম ছিল ১২০-১৩০ টাকা। অন্যদিকে, দেশি মুরগি ৪০০ টাকার উপরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩৭০-৩৮০ টাকায়। আর মাঝারি আকারের পাকিস্তানি মুরগি ২৫০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চিকেন মার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী মো. জুনায়েদ ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, পহেলা বৈশাখের আগে বাজারে মুরগির বাড়তি চাহিদায় দাম কিছুটা বাড়লেও মাঝে কিছুটা কমেছিল। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলার মুরগির খামারে রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মুরগি পালন কমে গেছে। ফলে রাজধানীর বাজারগুলোয় মুরগির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। এ কারণে বেশি দামে মুরগি কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে রাজধানীর বাজারগুলোয় শবেবরাতকে কেন্দ্র করে রমজাননির্ভর পণ্যের বিক্রি বেড়েছে। তবে বাজারের প্রতিটি মুদি দোকানে এ পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। আর কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম স্থিতিশীল আছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। গত সপ্তাহেও একই দামে ছোলা বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া চিনি ৫৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা, ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৮-৯০, বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১০৮ টাকা ও মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পণ্যগুলো একই দামে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে বড়েছে বেগুন ও আলুর দাম। গত সপ্তাহে আকারভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫৫ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২২-২৪ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮-২০ টাকায়। শিম বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায়। আকারভেদে লাউ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০-৪৫ টাকা, গাজর ৪৫ টাকা, শসা ৪৫ টাকা, খিরাই ৮০ টাকা, মানভেদে দেশি টমেটো ২৫-৩০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, আলু ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, পেঁয়াজ পাতা আঁটি ২০ টাকা, লালশাক আটি ১৫-২০ টাকা, প্রতি কেজি ধনেপাতা বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা।

এ ছাড়া রাজধানীতে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। রসুন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা এবং আদা প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর মালিবাগ বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. ইবরাহিম যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে রমজাননির্ভর পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে মুরগির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকায় ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবার এক কেজি ওজনের এক জোড়া ইলিশ ২৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, ৫০০ গ্রাম ওজনের এক জোড়া ইলিশ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া রূপচাঁদা পাঁচটিতে এক কেজি ওজনের বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকায়। রুই ও কাতলা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৩০-৩০০ টাকায়। বড় আকারের চিংড়ি প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১২০-১৪০ টাকা, কই ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পাঙ্গাশ ১০০-১২০, নলা ১২০-১৩০ টাকা এবং সরপুঁটি ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/42988