২ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার, ৯:৫১

দেশে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতি

দেখা অদেখা

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ আগামী সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। সারা দেশে সভা-সমাবেশ করছে, বর্ণাঢ্য, ব্যয়বহুল পোস্টার ফেস্টুন তোরণ নির্মাণ করে চলেছে। দলটির প্রচার সেল ব্যাপকভাবে এই কাজ করে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য এটা জনগণকে বোঝানো যে, তারা উদীপ্ত সফল যোগ্য। আগামীতে তাদের আবার ক্ষমতায় যাওয়া দরকার। আওয়ামী লীগের এই প্রচারকাজে দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপকভাবে অংশ নিচ্ছেন। নানা কৌশলে সাধারণ মানুষকেও এসব সমাবেশ শোভাযাত্রায় শামিল করার প্রচেষ্টা লক্ষ করা গেছে। এদিকে, সাধারণ মানুষ কিন্তু এসব অনুষ্ঠানের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে, তারা সবকিছু তাকিয়ে দেখছে বটে তবে উৎসাহ প্রকাশ করছে না এবং এর সাথে সম্পৃক্তবোধ করছে না। বিষয়টি একান্ত দলীয় বিষয়ে পর্যবসিত হয়ে আছে। দলের নেতাকর্মীদের বাইরে এসব উদ্যোগ আয়োজনে গণসম্পৃক্ততা নেই বললেই চলে। এসব বিষয় সম্পর্কে মনোযোগ দেয়ার চেয়ে গণমানুষ যে নানা দুঃখ-কষ্ট দুর্ভোগে এখন দিন যাপন করছে, তা নিয়েই দেশের সাধারণ মানুষের ভাবনা। সরকারিভাবে নানা বিষয়ে অতি উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু তা একান্ত তাদেরই।

সরকারে ক্ষমতাসীন দলের এমন ঘটা করা আয়োজন একদিকে দলকে উজ্জীবিত করছে; একই সাথে সরকারের সহযোগী জাতীয় পার্টিও বিপুল উৎসাহে বিরাট শোভাযাত্রা সমাবেশ করে যাচ্ছে। কিন্তু বৈপরীত্য হচ্ছে সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রতি ক্ষমতাসীনদের আচরণ চরম বৈষম্যপূর্ণ। বিএনপিকে প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেয়া হয় না। এতে করে দলটির পক্ষে স্বাভাবিক রজানৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের যদি এমন ঘরে বসিয়ে রাখার ব্যবস্থা হয়, তবে তাদের আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার অর্থই থাকে না। দলের নীতি আদর্শ মানুষের কাছে পৌঁছানো যদি সম্ভব না হয়; ক্ষমতাসীনদের ভুল-ত্রুটিগুলো যদি জনসম্মুখে তুলে ধরতেই না পারে, তাহলে তাদের ভোটে অবতীর্ণ হওয়ার কোনো মানে হয় না। নির্বাচনের পরিবেশ অবশ্যই অবাধ ও মুক্ত হতে হবে।

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের উঠে আসার একক কৃতিত্ব কারো নয়। এটা সমগ্র জাতির সাফল্য, কিন্তু সরকারি প্রচারণা এভাবে চালানো হচ্ছে যে, এই কৃতিত্ব ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া। তাহলে এতকাল যে এই অর্জন হয়নি তার ব্যর্থতার ভার কে নেবে? এ বিষয় নিয়ে একক কৃতিত্ব বা ব্যর্থতা কার তা অনুসন্ধান না করে বরং গোটা বিষয়টি জাতির। আগামীতে এর চূড়ান্ত যে মূল্যায়ন হবে, তাতে দেশ যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে, সেজন্য গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। সেটাকেই গুরুত্ব দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতি ও আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে, সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিয়ে কোনো দলেরই মতপার্থক্য হবে না। জাতীয় উন্নয়নকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। এ প্রশ্নে সবাইকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উপরে উঠে আসতে হবে।
প্রতিটি দেশে দল মত নির্বিশেষে কতগুলো জাতীয় প্রশ্নে অটুট ঐক্য থাকা অপরিহার্য এবং থাকেও। এসব মৌলিক প্রশ্নে কোনো দ্বিমত হয় না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের, অনেক মৌলিক ইস্যুসহ ছোটখাটো ব্যাপার নিয়েও বাংলাদেশে ঘোরতর মতভেদ রয়েছে। এতে বিভিন্ন প্রশ্নে বাংলাদেশের মানুষের ভেতর যে দ্বিধাবিভক্তি তা অটুট জাতীয় ঐক্য রচনার ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আছে। এমনকি জাতীয় নেতাদের অবদানের স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা বিভক্ত। কখনো কখনো নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদনের ক্ষেত্রে আমরা চরম অনুদার ও বৈষম্যমূলক আচরণ করে থাকি। তাদের ত্যাগ ও অবদানকে অস্বীকার করি। যে দেশে নেতাদের অবদানকে অস্বীকার করা হয় এবং গুণের কদর করা হয় না, সেখানে নেতা ও গুণীজন তৈরি হন না। গুণ ও নেতৃত্বের বন্ধ্যত্ব সৃষ্টি হয়। নেতাদের ভুলত্রুটির সমালোচনা হবে ঠিক, সেই সাথে অবদানকে খাটো করা যথাযথ নয়। অথচ আমাদের নেতৃত্বপর্যায়ের ব্যক্তিরাই তাই করে থাকেন। দুঃখ হয় এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর ভূমিকা দেখে। এই সুধীজনদের কাছ থেকে দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে, তারা দলীয় চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে সব কিছুর নির্মোহ মূল্যায়ন করবেন। কিন্তু অবাক হতে হয় তাদের রাজনৈতিক বোধ ও বচন দেখে। তারা যে ভাব ও ভাষা প্রয়োগ করেন, তা এতটা কূটরাজনীতিপূর্ণ যে তাকে একদেশদর্শিতা ভিন্ন কিছু বলা যায় না।
বিগত পাকিস্তান আমলে একটা বিষয় লক্ষ করা গেছে। কোনো দলের নেতারা নিজেদের মধ্যে ‘কাদা ঘাঁটাঘাঁটি’ করতেন না। তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তথা এই অঞ্চলের জনগণের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। পশ্চিমের শোষণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। এই আন্দোলন করতে বিভিন্ন সময় নানা জোট গঠন করেছেন। রাজনীতির পরিবেশ ছিল গঠনমূলক। কিন্তু এখন রাজনীতিতে সেই সৌহার্দ্য সহনশীলতা ও শ্রদ্ধাবোধ নেই। অথচ এখন দেশ স্বাধীন। যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। রাজনীতিতে সংগ্রাম, আন্দোলন হওয়ার কথা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য। তার পরিবর্তে এখন দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে। রাজনীতির এই কোন্দলকে পুঁজি করে সমাজের অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। দুর্নীতিবাজ, অর্থ আত্মসাৎকারীরা সমাজকে কলুষিত করে তুলছে। এই অপশক্তি কখনও কখনও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে অপ্রতিহত শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হচ্ছে। এদের মোকাবেলায় সম্মিলিত কোনো প্রতিরোধ গড়ে উঠতে দেখা যায় না। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মাঝে সামান্য মতপার্থক্যের কারণেও লড়াই করছে। এসব লড়াই হানাহানির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, হতাহতের কারণ ঘটাচ্ছে। রাজনীতির এই প্রেক্ষাপটে দেশের ভবিষ্যতের উন্নয়নে যে বিরাট চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা মোকাবেলা করা কত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হবে তা সমাজের নেতৃত্বে গোচরে রয়েছে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।

সবচেয়ে অবাক হতে হয়, দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও রয়েছে ঘোরতর মতপার্থক্য। লক্ষ করা গেছে, ক্ষমতায় আসার আগে আওয়ামী লীগ এ প্রশ্নে ছিল সোচ্চার। তারা নির্বাচনের সময় দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকুক, তা চায়নি। এর পরিবর্তে তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে প্রচণ্ড আন্দোলন করে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সে দাবি আদায় করে নিয়েছিল। তখন ক্ষমতাসীন বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছে। এরপর দেশে যে কয়দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, সেসব নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু পরীক্ষিত এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে হঠাৎ কেন সর্বোচ্চ আদালত রায় দিলো এবং সরকার তাতে সম্মতি দিলো, তা বোধগম্য নয়। অথচ এই বিষয় ঘুরেফিরে আবার রাজনীতিতে এসেছে। বিএনপিসহ অনেক দল ‘নির্বাচন সহায়ক’ সরকারের দাবিতে সোচ্চার। তারা এমন সরকার ভিন্নদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। সেই সাথে, আন্তর্জাতিক বলয়ে এবং দেশে যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে তার কী হবে? আসলেই এই নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয় এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি এখন মৌলিক ইস্যু। এসব এড়িয়ে চলার কোনো পথ নেই। তা ছাড়া, জনরায় যতটা সঠিকভাবে পাওয়া যায়, তার প্রতি রাজনৈতিক মহলের সম্মতি থাকাটা ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীদের মতামতটা পরিষ্কার নয়। তারা বলছে, তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে। এখনও এ প্রশ্নে রাজনীতিতে দ্বিমুখিতা রয়েছে; তা দূর হবে কিভাবে? এমন সব জটিল বিষয়ের সমাধান হতে পারে সংলাপের মাধ্যমে। বিএনপি ইতোমধ্যে এই প্রস্তাব দিয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারের স্বরূপ ও কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার জন্য অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু সরকারি দলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটি গ্রাহ্য করা হয়নি। তাই এই ইস্যুতে সংলাপ এবং এর সমাধানের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

এই প্রেক্ষাপটে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষকেরা জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতাসীন হবে তাদের ওপর রাষ্ট্র পরিচালনার স্বাভাবিক ব্যাপারটি ছাড়াও আরও একটি বড় কাজ তাদের করতে হবে। বাংলাদেশ এখন যে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার মর্যাদা পেতে যাচ্ছে, তার দ্বিতীয় দফা বিষয়টি মূল্যায়নের কাজ সেই সরকারের আমলেই হবে। উন্নয়নের জন্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকা একান্ত অপরিহার্য। কিন্তু নির্বাচন নিয়েই যদি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভেদ ও মতপার্থক্য বিরাজ করে, তাহলে পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি আশা করা যায় না। অস্থিতিশীল অবস্থা কোনো সরকারের জন্যই কল্যাণকর নয়।

জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছেÑ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়েই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে হবে। এ কথার প্রতিধ্বনি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংসদে যারা প্রতিনিধিত্ব করছে সেই দলগুলো নিয়েই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের আকার আগেরবারের মতোই ছোট হবে। তবে এটা পুরোপুরি এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। সংবিধান অনুযায়ী দেশে যথাসময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। এদিকে বিএনপি বলেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা যাবেন না। এ ছাড়া তারা দাবি করে বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। বিএনপির দুটো দাবির বিষয়ে সরকারি দলের যে সর্বশেষ নেতিবাচক জবাব পাওয়া গেছে, তাতে আগামী নির্বাচনে তাদের যোগ দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের কথাই এখন দেশে আলোচিত হচ্ছে।

সেতুমন্ত্রীর এই সর্বশেষ বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার, বর্তমান যে মন্ত্রিসভা রয়েছে তার একটি সংক্ষিপ্ত আকারই নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকবে। দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারীদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। দৃশ্যত তার এই বক্তব্যে নতুন কিছু নেই। এখন যে মন্ত্রিসভা রয়েছে তারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সদস্য। তাই হেরফের কিছু হওয়ার কথা নয়। যা তাই তো রইল; তফাতটা কোথায়? নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও একটা আপত্তি হচ্ছে, তারা সংবিধানের বাইরে যাবেন না। কিন্তু জাতীয় প্রয়োজনে সব কিছু করাই সম্ভব। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত অস্থায়ী সরকারের অধীনে পঞ্চম সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। বিচারপতি সাহাবুদ্দীনের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হওয়া এবং স্বপদে ফিরে পুনরায় প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারটি ঐকমত্যের ভিত্তিতে হয়েছিল। এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের যে পরিস্থিতি তা কোনো ব্যাকরণ অনুসরণ করে চলছে না। তাই গোটা পরিস্থিতি অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক। আগামী কয়েক মাসে দেশের হাল কী দাঁড়াবে বলা মুশকিল। দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে রাজনীতিকেরা কী করবেন তা অজানা। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার কেউই করছেন না। তাই মানুষ তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে পারছে না। ষোলো কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এখানে একটি দিন অতিবাহিত হওয়ার অর্থ জনসংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়া। সেই সাথে, বাড়তি মানুষের চাপ, তাদের প্রয়োজন বেড়ে যাওয়া। কোথায় এসব মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি?

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/306768