২৭ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:১১

স্বৈরতন্ত্র উন্নয়ন ও অপচয় নিয়ে কথা

জার্মানির খ্যাতনামা একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ‘গণতন্ত্র’ বাজার অর্থনীতি এবং সুশাসনকে মানদণ্ড ধরে বিস্তারিত সমীক্ষা চালিয়ে এই সত্যে উপনীত হয়েছে যে বাংলাদেশ এখন স্বৈর শাসনের অধীন এবং সেখানে গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ডও মানা হচ্ছে না। বেরটেলসম্যান স্টিপটুং নামক এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি ১২৯টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছিল। এর মধ্যে তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৮টি দেশে বর্তমানে স্বৈরশাসন চলছে এবং ৭১টি দেশে গণতন্ত্র চালু আছে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা ছিল ৭৪টি এবং ঐ সময়ে স্বৈরতন্ত্র চালু ছিল ৫৫টি দেশে। বিশ্বের নতুন পাঁচটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অন্যান্য স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্য রয়েছে লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া এবং উগান্ডা।

দুই.
মুক্ত বন্দর ভিত্তিক ছোট্ট নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের অজ্ঞাতনামা একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী অভিধা প্রদানের পর পরই জার্মানিভিত্তিক খ্যাতিমান এ প্রতিষ্ঠানটি তাদের সমীক্ষা রিপোর্টটি প্রকাশ করল। এতে বিশ্বের ৫৮টি স্বৈরতান্ত্রিক দেশের মধ্যে নিকৃষ্টতম ৫টি দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। লজ্জা রাখার স্থান পাই না। সরকারের সাবেক আমলা ও সরকারের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা জনাব এইচ.টি ইমামকে সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে জনাব এইচ.টি ইমাম দম্ভভরে প্রশ্ন করেছেন, “আমরা কি হিটলারের দেশ জার্মানির কাছ থেকে গণতন্ত্র শিখতে যাব?” তিনি বর্তমান বাংলাদেশের একনায়কতান্ত্রিক চরিত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও দেশের ১৬ কোটি মানুষ জানে আওয়ামী লীগের স্বৈরতান্ত্রিক পুলিশি রাষ্ট্রের অত্যাচারে তারা কিভাবে অতিষ্ঠ হচ্ছেন। লক্ষ লক্ষ লোক এখন আওয়ামী সন্ত্রাসের নিষ্ঠুর শিকার। বিরোধী দলগুলোকে সরকার নিশ্চিহ্ন করার মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। বিনা নির্বাচনে ‘নির্বাচিত’ হয়ে ক্ষমতাসীন হয়ে তারা পুলিশ আর দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। বিরোধী দলকে শৃঙ্খলিত রেখে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এখন সরকারি পয়সায় দলের জন্য দেশব্যাপী ভোট ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন। বিরোধী দলগুলোকে ঘরোয়া বৈঠক করতেও দিচ্ছেন না।

আমি জনাব এইচ.টি ইমামের সাফাই এর কথা বলছিলাম, তার এই অস্বীকৃতির পাশাপাশি পত্র-পত্রিকায় একটি মজার খবর প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হয়েছে যে তিনি বলেছেন, নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। ক্ষমতায় বর্তমানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগই থাকবে।

নির্বাচনে ক্ষমতার কোন পরিবর্তন হবে না। তার এই উক্তিটি তাৎপর্যপূর্ণ। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি খরচে দেশব্যাপী সফর করে দলটির নেত্রীবৃন্দ ভোটভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন। বিরোধী দলকে মাঠে নামতে দিচ্ছেন না। তাদের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতানেত্রীদের জেলে পুরেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মামলা দিয়ে একদিকে হয়রানি করছেন, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস ও অকার্যকর করে প্রধানমন্ত্রী তার অধীনে তারই পছন্দমত পন্থায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পথ পাকাপোক্ত করছেন। মানুষের এখন মৌলিক অধিকার নেই। নাগরিক অধিকার নেই, তারা এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় বসবাস করছেন। সরকার যা বলবেন যা করবেন সেটাই তাদের মেনে নিতে হবে।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একমাত্র গ্যারাণ্টি ছিল কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা। ক্ষমতায় এসে এই দলটি এ ব্যবস্থাটি ধ্বংস করে দেয় এবং সংবিধান থেকে এর বিধান তুলে দেয়া হয়। উদ্দেশ্য একটি ছলে-বলে-কলে-কৌশলে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং এই কাজটি তারা করেছেন ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে। পুলিশ র্যা ব বিজিবি এবং তাদেরই অস্ত্র সজ্জিত দলীয় ক্যাডাররাই এখন তাদের ভরসা। জনগণের ওপর তাদের কোন আস্থা নেই। তাদের ইচ্ছায়ই জনগণকে উঠতে বসতে হবে। এর চেয়ে বড় স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা আর কি হতে পারে?

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের কয়েকটি শর্ত পূরণ করেছে। দেশের মানুষ টের না পেলেও সরকারি দল গত ৯ বছর ধরে অর্থ লোপাট করে তা টের পেয়েছে এবং এই উপলক্ষে দেশব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের ব্যাপক আয়োজন করেছেন। গত ২২ মার্চ ছিল এই দিবসটি উদযাপনের দিন। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশবাসীকে অনুষ্ঠানে যোগদানের দিক-নির্দেশনা দিয়ে ঐ দিন ঘরের বাইরে কোন প্রকার ব্যাগ বহন না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমার ধারণা ছিলো সরকার বুঝি অভ্যাগত সকলকেই একটি করে ব্যাগ দিবেন কিন্তু তা তারা দেননি।

বিষয়টি গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল দেয়ার মতো। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরনের জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় কয়েকটি শর্ত পূরণ করেছে। এ অবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য আরও ৬ বছর আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে এবং যদি এ ধারা অব্যাহত রাখা যায় তাহলে ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা স্বীকৃতি পেতে পারি। তাহলে ২০১৮ সালে এর উদযাপন কেন? মানুষকে বোকা বানানোর জন্য? নাকি এ কথা বুঝানোর জন্য যে তারা যদি ক্ষমতায় না থাকেন তাহলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হবে না? তাদের অপরিহার্য্যতা বুঝানোর জন্য? বাংলাদেশ বর্তমানে যে অবস্থানে আছে এ অবস্থানে আসার পেছনে অতীতের সকল সরকারের কৃতিত্ব রয়েছে। কোন একক সরকারের নয়। আর এ কথাও অনস্বীকার্য যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই উন্নয়নের চাবিকাঠি। স্বৈরতন্ত্রের অধীনে উন্নয়ন হয় না; দুর্নীতি ও অপচয় হয়। এ বিষয়টি আমরা এখান হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। ইন্নাল মুবাজ্জিরিনা কানু ইখওয়ানুস শায়াতীন। (সূরা বনী ইসরাইল : আয়াত ২৭)

কুরআন মজীদের এই আয়াতে অপচয়কারীদের শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। অভিশপ্ত শয়তানের ওসওয়াসা থেকে আমরা সবসময় পানাহ চাই। ফালতু কাজে অর্থ ব্যয় করে সরকার জাতীয় অর্থের অপচয় করছেন এবং আমাদেরই অগোচরে জাতীয়ভাবে আমাদের শয়তানের ভাই বানাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ আমাদেকেই খুঁজতে হবে।

তিন.
পত্রপত্রিকায় ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিক-এর সর্বশেষ খানা জরিপের একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সূত্র অনুযায়ী বর্তমানে দেশী-বিদেশী মিলিয়ে রাষ্ট্রের মোট ঋণের পরিমাণ ৭ লাখ ৯৮ হাজার কোটি টাকা। ফলে আমাদের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯,৩৩৫.০০ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সরকার ঠিকমতো স্বচ্ছতার সাথে ঋণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এর দায় নিতে হচ্ছে জনগণকে। তারা বলেছেন যে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য নেয়া ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে অনুন্নয়ন বাজেট হচ্ছে ২,৩৪,০১৩ কোটি টাকার। এর মধ্যে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ রাখা হয়েছে ৪১,৪৫৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ অর্থই ব্যয় হচ্ছে ঋণের সুদ বাবদ। ঋণের অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা না থাকায় জনগণের অর্থ কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে এবং কারা খাচ্ছে জনগণ তা জানতে পারছে না।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় ঋণের পরিমাণ ছিল ২,২৪,২৩৬ কোটি টাকা। এর অর্থ হচ্ছে গত ৯ বছরে বর্তমান সরকার ঋণ করেছে ৫,৭৩,৭৬৪ কোটি টাকা। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী এই সময়ে বিদেশে পাচার হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ কোটি টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারি দফতর অধিদফতর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও আত্মসাতের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা হিসাব করলে আৎকে উঠার মতো অবস্থা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশের অবস্থা এখন ঋণ নিয়ে ঘি খ্ওায়ার মতো। এর পরিণাম হচ্ছে ভয়াবহ। ঋণের টাকা দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা দু’গুণ-তিনগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, কিছুদিন পর পর এসব প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির নতুন নতুন উৎস খুলে দেয়া হচ্ছে। বৈদেশিক ঋণ বাড়ায় বাড়ছে ঋণ পরিশোধের চাপ। ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদেশিক সম্পদও কমে যাচ্ছে। সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে। বাজেট ঘাটতি পূরণ করার জন্য সরকার মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করছেন এবং অনুন্নয়ন ব্যয় বাড়াচ্ছেন। যে মুদ্রার পেছনে উৎপাদন নেই সেই মুদ্রা জাতির জন্য দায় হয়ে যাচ্ছে এবং বাজারে হু হু করে খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে মানুষের জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তুলছে।

বলাবাহুল্য জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় সকল দেশই এখন ঋণ ছাড়াই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ফলে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, নবপ্রতিষ্ঠিত এশিয়ান অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক (এআইআইবি), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রভৃতি বহুজাতিক সংস্থা তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারছে না। এসব প্রতিষ্ঠানে এখন অলস অর্থের পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। তারা এখন বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য শর্ত শিথিল করতে শুরু করেছে।

আইএমএফ পরিবেশিত এক তথ্যানুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানটিতে সদস্য দেশগুলোর কোটা রয়েছে ৬৪,৫০০.০০ কোটি ডলারের। তাদের হাতে আরো জমা রয়েছে ২৯০০০ কোটি ডলার। এর মধ্যে তারা কোটার বিপরীতে ছাড় করেছে ২৫,৮০০ কোটি ডলার এবং তাদের হাতে অলস অর্থ রয়েছে প্রায় ৬৭,৭০০ কোটি ডলার। বিশ্বব্যাংকের অবস্থাও প্রায় অনুরূপ। ২০১৬ সালে তারা সদস্য দেশগুলোকে ৬৪১৮ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এরমধ্যে ছাড় করেছিল ৪৯০৪ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে তাদের প্রতিশ্রুতি ছিল ৬১৭৮ কোটি ডলার, এর বিপরীতে তারা ছাড় করতে পেরেছিল ৪৩৫৮ কোটি ডলার।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। তাদের হাতে বিনিয়োগযোগ্য তহবিল আছে ১৪,২৬০ কোটি ডলার এবং বিনিয়োগ করেছে ১১ হাজার কোটি ডলার এবং অবশিষ্ট আছে ৩২৬০ কোটি ডলার। অন্যদিকে চীনের নেতৃত্বাধীন এআইআইবির কাছে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ আছে ১৮৫২ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাকী অর্থ তারা বিনিয়োগ করতে পারেনি। জাইকা, ডিএফআইডি, কানাডিয়ান সিডা, সুইডিশ সিডা, ডানিডা, নোরাড, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের কাছেও প্রচুর অলস অর্থ জমে আছে। তারা সকলেই শর্ত শিথিল করেছে তবে ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে তাদের সুদ তথাপিও ভারতীয় ঋণের সুদের তুলনায় অনেক কম এবং রেয়াতি মেয়াদ বেশি। তা সত্ত্বেও কঠোর শর্তের ভারতীয় ঋণের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আকর্ষণ বেশি। তারা এই ঋণ দিয়ে দেশকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে দিয়েছে। দেশবাসীকে এ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

http://www.dailysangram.com/post/324190