২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:৫২

একের পর এক বেসরকারি ব্যাংক দখল

# মূল হোতাদের নিরাপদে রেখেই দায় চাপানো হচ্ছে ব্যাংকগুলোর ওপর
# গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে
# নির্বিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক
একের পর এক চর দখলের মত বেসরকারি ব্যাংক দখল চলছে। দখলের ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ঘটনায় নির্বিকার রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ঘটনার মূল হোতাদের নিরাপদে রেখে ব্যাংকের ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। এতে করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। এতে করে আমানতকারী ও ভালো ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া পড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব জেনেও সহায়কের ভূমিকা নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর হলে সংকট প্রকট হতো না।
জানা গেছে, সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংকগুলো পরিচালক নিয়োগ করে থাকে। এদের মাধ্যমেই সরকারদলীয় ব্যবসায়ীরা ঋণ সুধিবা নিয়ে থাকে। এসব ঋণ নেয়ার পরে তারা খেলাপি হয়ে বসে থাকেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একের পর এক সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। এতে করে লুটেরা নিরাপদেই থেকে যাচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে যে বা যারাই পরিচালনা পর্ষদে আসুক না কেন তাদের প্রভাব অব্যাহতই থাকে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং ঋণ গ্রহিতা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে একের পর এক ব্যাংকে হস্তক্ষেপ করছে। এতে করে গ্রাহকরা ব্যাংকের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। মানুষ বাধ্য হয়ে ব্যাংক বিমুখ হচ্ছে। ফলে ডেসটিনি এবং যুবকের মত ভূইফোঁর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্ম হচ্ছে। মানুষ লাভের আশায় এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখে মূলধন হারাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি এসব রাঘব বোয়ালদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আর্থিক খাতে। এসব প্রতিষ্ঠানে যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংস্কারের পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ এবং বড় খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তাহলেই ব্যাংক খাতে তার হারানো ইমেজ ফিরে আসতে পারে।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংক দখলের পর একটি শিল্প গ্রুপ একের পর এক ব্যাংক দখল করে চলছে। এতে করে ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। কি কারণে এ দখল চলছে তা কেউ বলতে পারছে না। নামে বেনামে কোম্পানি খুলে মোটা অংকের শেয়ার কিনে মালিকানা নিচ্ছে এই গ্রুপ কোম্পানিটি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করছে না।
অন্যদিকে সরকারি ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছেন কলমানি মার্কেট থেকে ঋণ নিয়ে। অনেক সময় অন্য ব্যাংক থেকে ধার দেনা করে নিয়মিত কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।

নামে-বেনামে ইচ্ছামতো অর্থ তুলে নেয়া হয়েছে। ঋণে বেড়েছে অনিয়ম। সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি ব্যবস্থা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছে। দেশে সরকারি-বেসরকারি-বিদেশী মিলে মোট ৫৭টি ব্যাংক রয়েছে। আর্থিক অবস্থার অবনতি হওয়া ১৩টি ব্যাংকের মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ও বিশেষায়িত ব্যাংক আটটি। এছাড়া বেসরকারি খাতের একাধিক ব্যাংকের মালিকানা বদল নিয়েও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে আমানতকারীদের মধ্যে বড় ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে খেলাপী ঋণের পরিমাণও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সেগুলো চালু রাখতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যমান বেসরকারি চালু ব্যাংকগুলো যেখানে ভাল চলছে না সেখানে নতুন ব্যাংক অনুমোদনের তোড়জোড় চলছে।
বছরের শুরু থেকে ব্যাংকিং খাতে লাগামহীনভাবে বাড়ে খেলাপী ঋণ। নিরাপত্তা সঞ্চিতি (প্রভিশন) ও মূলধন ঘাটতিতে পড়ে সরকারি-বেসরকারি কিছু ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, যা ১৬ ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় মাসে খেলাপী ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। মোট ঘাটতির সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের। সবচেয়ে বেশি তিন হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঘাটতিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে। প্রভিশন ঘাটতির পাশাপাশি মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে আটটি ব্যাংক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে আট ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানার বিশেষায়িত ব্যাংক এবং তিনটি বেসরকারি খাতের ব্যাংক রয়েছে। নতুন করে যোগ হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংক।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসলামী ব্যাংক এবং অক্টোবরে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। ব্যাংক তিনটির শেয়ার বিক্রি করে মালিকানায় পরিবর্তন আনা হয়। পর্ষদ পরিবর্তনের পর থেকে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় ইসলামী ব্যাংকে। এরপর থেকে ব্যাংকটির শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করেন বিদেশী উদ্যোক্তা। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংকটিতে বিদেশীদের হাতে ছিল মোট শেয়ারের ৭১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যা চলতি বছরের ৩০ নবেম্বর শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বর্তমানে ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। কমে গেছে আয় ও আমানতের প্রবৃদ্ধি।
এদিকে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর ইসলামী ব্যাংকের কায়দায় পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন আনা হয় বেসরকারী খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল)। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান রেজাউল হক, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল হক, এমডি শহীদ হোসেনকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আনোয়ারুল আজিম আরিফ। নতুন এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি কাজী ওসমান আলীকে। এছাড়া নির্বাহী কমিটির নতুন চেয়ারম্যান করা হয় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদকে। সর্বশেষ বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের মালিকানায়ও পরিবর্তন এসেছে। এসব কারণে বেসরকারি ব্যাংকে পরিবর্তন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তড়িঘড়ি করে পর্ষদ ও এমডি পরিবর্তনের বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে দেয়। পরে এ বিষয়ে আপত্তি তুলেছে ব্যাংকের বিদেশি উদ্যোক্তা পরিচালক বহুজাতিক ব্যাংক ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুসন্ধান করে দেখেছে, তাদের অনুমোদন দেয়াটাও বিধিসম্মত ছিল না। এর আগে পরিচালকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে মেঘনা ব্যাংকের এমডি নুরুল আমিনকে সরে যেতে হয়েছে। শাহজালাল ব্যাংকের এক পরিচালককে পদ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

এ বিষয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, নদী ও চর দখলের মতোই একের পর এক ব্যাংক দখল হচ্ছে, যার কোন বিচার নেই। ফলে তৈরি হচ্ছে অসমতা। বাড়ছে বৈষম্য। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হলেও সেজন্য যে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার তার ঘাটতি রয়েছে। ফলে বিভিন্ন খাতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়বে।
ব্যাংকগুলোর পর্ষদ পরিবর্তন ও অনিয়মে প্রায় নিশ্চুপ ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নানা অনিয়মের ঘটনায় কিছু কার্যকর পদক্ষেপও নিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা। ব্যাংকের পর্ষদ পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপে চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও এনআরবিসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসাত আলী। সর্বশেষ ফারমার্স ব্যাংকের এমডি একেএম শামীমকেও সরিয়ে দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতামতের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের নতুন নয়টি ব্যাংকের নানা অনিয়ম ও আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে বাড়ছে খেলাপী ঋণ। পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগিতে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় লাভ তো দূরের কথা মূলধনই খেয়ে ফেলছেন তারা। এরপরও নতুন করে তিনটি ব্যাংক অনুমোদনের কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, এর আগে যখন নয়টি ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তখন আমরা বলেছিলাম বাংলাদেশের অর্থনীতির যে আকার সেখান থেকে আর নতুন ব্যাংক দেয়া ঠিক হবে না। তারপরও শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যাংকগুলোর এখন নাজুক অবস্থা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম আর জালিয়াতির যে রীতি চালু হয়েছে, নতুন ব্যাংক এলে তার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। তাই এসব প্রতিরোধে সরকারকে বেশি মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব প্রকট হয়েছে। এ কারণে নানা ধরনের সংকট বাড়ছে। এ ছাড়া প্রভাবশালীরা এ খাতে বিনিয়োগ করায় প্রশাসনিক তদারকিও হয় না। ফলে কোনো শৃঙ্খলার মধ্যে নেই ব্যাংকগুলো। আবার তিনটি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এ অবস্থায় নতুন ব্যাংক দেয়ার বিষয়টিও এখন যথার্থ নয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ব্যাংক রয়েছে। এখন এ খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনা জরুরি। তা না হলে ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ব্যাংকগুলোয় যে পরিবর্তন হয়েছে তা কোম্পানি আইন মেনে করা হয়েছে। ব্যাংকের প্রয়োজনেই এ পরিবর্তন। তবে পরিবর্তনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েই দায়িত্ব দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ পরিবর্তন ভালোর জন্যই করা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটতে পারে। ব্যাংকের এই পরিবর্তন সাধারণ আমানতকারীদের জন্য কোনো ভীতির কারণ হবে না বলে মনে করেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা এক বেনামি অভিযোগপত্রে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত লিখেছেন, এস আলম ব্যাংক দখল করার জন্য প্রচেষ্টা নিয়েছে। তাকে বাধা দিতে হবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে এ মারাত্মক উদ্যোগ সম্বন্ধে অভিহিত করতে হবে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা দরকার।

 

http://www.dailysangram.com/post/312908