২৭ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১২:৫৯

দা’য়ী ইলাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.)

-আবদুস শহীদ নাসিম

১. দা’য়ী ইলাল্লাহ রাসূল (সা.) : মহান আল্লাহ মুহাম্মদ (সা.)-কে যেসব দায়িত্ব দিয়ে রাসূল নিযুক্ত করেছেন, তন্মধ্যে অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিলো দাওয়াত ইলাল্লাহ বা মানুষকে আল্লাহ্র দিকে আহ্বানের দায়িত্ব পালন। তাঁর ওপর অর্পিত এই গুরুদায়িত্ব এবং প্রাসঙ্গিক দায়িত্বসমূহের উল্লেখ করে মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে, আর আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বানকারী হিসেবে এবং আলো বিতরণকারী উজ্জ্বল প্রদীপ হিসেবে। তুমি মুমিনদের সুসংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আল্লাহ্র পক্ষ থেকে রয়েছে বিরাট অনুগ্রহ। তুমি অবিশ্বাসী ও মুনাফিকদের আনুগত্য করোনা এবং তাদের দেয়া কষ্ট উপেক্ষা করো, আর তাওয়াক্কুল করো আল্লাহ্র ওপর। দায়িত্বশীল ও কার্যসম্পাদনকারী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।’ (সূরা আলে ইমরান : ৪৫-৪৮)।

২. দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য : উপরোল্লিখিত কয়টি আয়াতে রাসূল হিসেবে মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে আল্লাহ্ তায়ালা যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য অর্পণ করেছেন, সেসব দায়িত্বেরই কয়েকটি তিনি উল্লেখ করেছেন। এখানে তাঁকে যেসব দায়িত্ব পালনের নির্দেশ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- ১. শাহেদ : সাক্ষী।

এর প্রকৃত মর্ম হলো, দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে নিজেকে দ্বীনের বাস্তব নমুনা, মূর্তপ্রতীক ও সাক্ষী হিসেবে মানুষের সামনে পেশ করা; ২. মুবাশ্শির : এর অর্থ- সুসংবাদদাতা, সুসংবাদবাহক। অর্থাৎ এই আহ্বান গ্রহণ করার ফায়দা ও কল্যাণ সম্পর্কে মানুষকে সুসংবাদ প্রদান করা; ৩. নাজির : সতর্ককারী। অর্থাৎ এই আহ্বানে সাড়া না দিলে যে মহাক্ষতি ও অকল্যাণ হবে, সে বিষয়ে সতর্ক করা; ৪. দা’য়ীয়ান ইলাল্লাহ : অর্থাৎ আল্লাহ্র দিকে আহ্বানকারী বা দাওয়াতদানকারী; ৫. সিরাজাম মুনিরা : আলো ছড়ানো উজ্জ্বল প্রদীপ। এছাড়া কর্তব্য হিসেবেও তাঁকে কিছু কাজের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. আল্লাহ্র রাসূলের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা নিজেদের ঈমানের অমিয় সুধায় সিক্ত করেন, তাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশাল তাঁর অনুগ্রহের সুসংবাদ প্রদান করা; ২. অবিশ্বাসী ও মুনাফিকদের আনুগত্য-অনুসরণ না করা; ৩. কাফির ও কপট-বিশ্বাসীদের দেয়া কষ্ট-যাতনা ধৈর্যের সাথে উপেক্ষা করা; ৪. সর্বাবস্থায় আল্লাহ্র ওপর ভরসা (তাওয়াক্কুল) করা; ৫. কার্যসম্পাদনকারী (উকিল) হিসেবে আল্লাহ্কেই যথেষ্ট মনে করা।

৩. রাসূল এবং তাঁর উম্মতের দায়িত্ব মিশনারি দায়িত্ব : মহান আল্লাহ্ রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আল্লাহর দিকে মানব সমাজকে দাওয়াত প্রদানের যে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়ে পাঠিয়েছেন, তা পুরোপুরি মিশনারি দায়িত্ব। এ দায়িত্ব এক অবিরাম প্রক্রিয়া। আল্লাহ্র রাসূল (সা.) যথাযথভাবে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করে গেছেন, আল্লাহ্র দ্বীনকে মানব সমাজে পরিপূর্ণভাবে প্রবর্তন করে গেছেন। আর মহান আল্লাহ্ তাঁর দায়িত্ব পূর্ণরূপে সম্পাদনের স্বীকৃতিও তাঁকে প্রদান করেছেন, ‘আজ আমি তোমাদের জন্যে পূর্ণ করে দিলাম তোমাদের দ্বীন, পরিপূর্ণ করে দিলাম তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত (আল কুরআন) এবং তোমাদের জন্যে দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) মনোনীত করলাম ইসলামকে।’ (সূরা মায়িদা : ৩)।

রাসূলুল্লাহর (সা.) মৃত্যুর পর আল্লাহ্পাক দাওয়াতের এই মহান মিশনারি দায়িত্ব পালনের ভার তাঁর উম্মতের ওপর অর্পণ করেছেন, ‘তোমরা হলে সর্বোত্তম উম্মত, তোমাদের আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে মানবজাতির (কল্যাণের) উদ্দেশ্যে। (তোমাদের দায়িত্ব হলো) তোমরা মানব সমাজকে ভালো কাজের আদেশ করবে, মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে এবং আল্লাহ্র প্রতি অবিচল আস্থা রাখবে।’ (সূরা আলে ইমরান : ১১০)। ‘তোমাদের মধ্যে অবশ্যই এমন একদল লোক থাকতে হবে, যারা (মানুষকে) আহ্বান করবে কল্যাণের দিকে, নির্দেশ দেবে ভালো কাজের এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে। আর তারাই হবে সফলকাম।’ (সূরা আলে ইমরান : ১০৪)। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আজ মুসলিম উম্মাহ্র অধঃপতনের মূল কারণ আল্লাহ্ প্রদত্ত এই মিশনারি দায়িত্ব পালন থেকে হাত গুটিয়ে নেয়া।


৪. প্রত্যেক মুসলিমকে দাওয়াত ইলাল্লাহ্র দায়িত্ব পালন করতে হবে : মহান আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে যে পাঁচটি দায়িত্ব তাঁর মিশন হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন, মুসলিম উম্মাহ্র প্রত্যেক সদস্যকেও নিজ নিজ যোগ্যতা ও সামর্থ্যানুযায়ী সে দায়িত্বগুলো পালন করতে হবে। অর্থাৎ প্রত্যেক মুসলিমই তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী- ১. মুখে এবং কর্ম ও আচরণের মাধ্যমে ইসলামের বাস্তব সাক্ষ্য ও নমুনা পেশ করবেন; ২. ইসলাম গ্রহণ করার এবং ইসলামের পথে চলার সুফল সম্পর্কে মানবসমাজকে সুসংবাদ দেবেন; ৩. এক আল্লাহ্র প্রতি ঈমান না আনার এবং ইসলামের ভিত্তিতে জীবনযাপন না করা চরম দুঃখময় পরিণতি সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করবেন; ৪. মানুষকে নিজের কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্র পথে আসার জন্যে অহর্নিশি আহ্বান জানাবেন; ৫. নিজেকে ইসলামের আলো বিতরণকারী উজ্জ্বল প্রদীপ (সিরাজাম মুনিরা) হিসেবে গড়ে তুলে দাওয়াতের এই মহান মিশনারি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

৫. রাসূলুল্লাহ (সা.) কীভাবে দ্বীনের সাক্ষ্য ও নমুনা পেশ করেছেন? : মহান আল্লাহ্ রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে তিন ধরনের সাক্ষ্য ও নমুনা পেশ করার দায়িত্ব অর্পণ করেছেন-

মৌখিক সাক্ষী : আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে অহি ও কিতাবের মাধ্যমে ঈমান ও ইসলামের যে শিক্ষা ও রূপরেখা দিয়েছেন, তা হুবহু তিনি মানুষের সামনে সত্য বলে পেশ করেছেন, মানুষকে স্পষ্ট করে তা বলে দিয়েছেন। এর সাথে সাংঘর্ষিক এবং এর বিপরীত সমস্ত বিশ্বাস ও মতবাদ যে বাতিল ও মিথ্যা তা পরিষ্কার করে মানুষকে বলে দিয়েছেন। সমস্ত সত্য, ন্যায় ও কল্যাণকর মূলনীতি, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি মানব সমাজের কাছে পরিষ্কার করে পেশ করেছেন। আল্লাহ্র শরিয়ত প্রদত্ত সমস্ত হালাল হারাম মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া মানুষের সর্বপ্রকার বিরোধিতা উপেক্ষা করে একাজ করে গেছেন। এসবই তাঁর মৌখিক সাক্ষ্যের মৌলিক কথা। তাঁর এ দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘তোমার প্রতি তোমার প্রভুর যে কিতাব অহি করা হয়েছে তুমি তা তিলাওয়াত (বর্ণনা) করো। তাঁর বাণী পরিবর্তন করার কেউ নেই। তুমি কখনো তাঁকে ছাড়া আর কোনো আশ্রয় পাবে না।’ (আল কুরআন ১৮ : ২৭)।

বাস্তব সাক্ষী বা কর্মের সাক্ষী : আল্লাহ্ প্রদত্ত মহাসত্য নীতি ও আদর্শ মৌখিকভাবে মানবসমাজের কাছে তুলে ধরার সাথে সাথে রাসূলুল্লাহ নিজের বাস্তব জীবনের সর্বক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে সেগুলো পালন করে এবং মেনে চলে নিখুঁত নজির ও নমুনা উপস্থাপন করে বাস্তবে ইসলামের নমুনা ও সাক্ষ্য পেশ করে গেছেন। মহান আল্লাহ্ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এভাবে আমরা তোমাদের বানিয়েছি একটি ‘মধ্যপন্থী উম্মাহ’, যাতে করে তোমরা বিশ্ববাসীর জন্যে সাক্ষী হতে পারো এবং যেন রাসূল হয় তোমাদের জন্যে সাক্ষী।’ (সূরা বাকারা : ১৪৩)।

পরকালে আল্লাহ্র আদালতে সাক্ষী : পরকালে প্রত্যেক নবী-রাসূলকেই আল্লাহ্র আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে, তাঁকে আল্লাহ্ তায়ালা যে সত্য মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তিনি সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন কিনা? রাসূলুল্লাহ (সা.)ও আদালতে আখিরাতে এ বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করবেন। মহান আল্লাহ্ বলেন, ‘সেদিন আমরা প্রত্যেক জাতি থেকে তাদের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী দাঁড় করাবো আর তোমাকে নিয়ে আসবো এদের বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে।’ (আল কুরআন ১৬ : ৮৯)।

৬. তিনি কোন্ দিকে এবং কীভাবে দাওয়াত দিয়েছেন? : আল্লাহপাক সাক্ষী হিসেবে তাঁর দ্বীনের যে মিশনারি দায়িত্ব পালনের ভার তাঁর রাসূলকে দিয়েছেন এবং তাঁর উম্মতকে দিয়েছেন, তা মূলত এক সর্বব্যাপী দাওয়াতি কাজ। তাই তিনি মানবসমাজকে কোন্ দিকে আহ্বান করবেন, কীভাবে করবেন, তা-ও মহান আল্লাহ তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘তুমি মানুষকে দাওয়াত দাও তোমার প্রভুর দিকে এবং তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’ (আল কুরআন ২৮ : ৮৭)। ‘এমতাবস্থায় তুমি (সরাসরি কেবল আল্লাহ্র দ্বীনের দিকেই) মানুষকে আহ্বান করো এবং এর ওপর অটল-অবিচল থাকো, যেভাবে তোমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ (আল কুরআন ৪২ : ১৫)। ‘তোমার প্রভুর পথের দিকে মানুষকে দাওয়াত দাও হিকমত এবং উত্তম উপদেশের মাধ্যমে।’ (সূরা নাহত : ১২৫)। ‘ঐ ব্যক্তির চাইতে সুন্দর কথা আর কে বলে, যে মানুষকে দাওয়াত দেয় আল্লাহ্র দিকে এবং উত্তম আমল করে, আর বলে, নিশ্চয়ই আমি একজন মুসলিম (আল্লাহ্র অনুগত)।’ (সূরা হামিম আস্ সাজদা : ৩৩)।

ফেরাউন যখন মূসা (আ.)-কে হত্যা করতে উদ্যত হয়, তখন তারই এক সভাসদ নিজের ঈমান প্রকাশ করে ফেরাউনের সামনেই জাতির উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। কুরআনে তার সেই ভাষণ উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষণে তিনি এ কথাও বলেন, ‘হে আমার কওম! এটা কেমন ব্যাপার, আমি তোমাদের দাওয়াত দিচ্ছি মুক্তির দিকে; অথচ তোমরা আমাকে ডাকছো জাহান্নামের দিকে! তোমরা আমাকে দাওয়াত দিচ্ছো, যেন আমি আল্লাহ্র প্রতি কুফরি করি এবং তাঁর সাথে শিরক করি, যে ব্যাপারে আমার কোনো এলেম নেই। অথচ আমি তোমাদের দাওয়াত দিচ্ছি মহাপরাক্রমশালী অতীব দয়াবানের দিকে।’ (সূরা মুমিন : ৪১-৪২)। এই মহান ব্যক্তি ছিলেন মূসা (আ.)-এর সাহাবি। রাসূলুল্লাহ (সা.)ও এ কথাগুলোই তাঁর জাতিকে বলেছেন এবং তাঁর অনুসারীদের এভাবে দাওয়াত দিতে শিক্ষা দিয়েছেন।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী ও মুয়ায (রা.)-কে ইয়েমেন যাত্রা করার নির্দেশ দেন। তিনি তাদের বলেন, তোমরা যাও, মানুষকে সুসংবাদ দেবে, ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেবে না। সহজ করে উপস্থাপন করবে, কঠিন করে পেশ করবে না। কারণ আমার প্রতি নাজিল হয়েছে, ‘হে নবী! আমরা তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে...।’ (সূত্র : ইবনে আবি হাতিম)

৭. রাসূলুল্লাহ্র (সা.) দাওয়াত দান পদ্ধতি : কুরআন ও হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দাওয়াতের পদ্ধতি বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। তাঁর দাওয়াত দান পদ্ধতির কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হলো- ১. তিনি মানুষকে ডাকতেন আল্লাহর দিকে; ২. তিনি প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে দাওয়াত দিতেন; ৩. তিনি মর্মস্পশী উত্তম উপদেশের মাধ্যমে দাওয়াত দিতেন; ৪. তিনি সুন্দরভাবে হাসিমুখে যুক্তি দিয়ে কথা বলতেন; ৫. তিনি রাতদিন সবসময়ই দাওয়াতি কাজ করতেন; ৬. তিনি গোপনে গোপনে (ব্যক্তিগত কন্টাক্টের মাধ্যমে) দাওয়াত দিতেন; ৭. তিনি প্রকাশ্য সভায় দাওয়াত দিতেন; ৮. তিনি মানুষকে উৎসাহ প্রদান করতেন; ৯. তিনি কট্টরপন্থা অবলম্বন করে মানুষকে দূরে ঠেলে দিতেন না; ১০. তিনি বক্তব্য সহজভাবে উপস্থাপন করতেন এবং ১১. তিনি মন্দের জবাব দিতেন ভালো দিয়ে।


৮. দা’য়ী ইলাল্লাহ হিসেবে রাসূলুল্লাহর (সা.) গুণাবলী : কুরআন মজিদ থেকে জানা যায়, দা’য়ী ইলাল্লাহ্ হিসেবে মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন- ১. সত্যের সাক্ষী (নমুনা); ২. সুসংবাদদাতা; ৩. সতর্ককারী; ৪. সঠিক পথের ওপর প্রতিষ্ঠিত; ৫. সুন্দর বাচনভঙ্গির অধিকারী; ৬. নেক আমলকারী; ৭. আল্লাহর অনুগত; ৮. মুক্তির দিকে আহ্বানকারী; ৯. দীনের পথে আহ্বানের কাজে অটল; ১০. ইসলামী আদর্শের বাস্তব নমুনা; ১১. বিরোধীদের দেয়া কষ্ট উপেক্ষাকারী এবং ১২. আল্লাহর ওপর ভরসাকারী।

লেখক : বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ।

কার্টেসীঃ সাপ্তাহিক সোনার বাংলা, সীরাত সংখ্যা ২০১৭