ভেদরগঞ্জে ৬ নারী ধর্ষণের পর অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার নায়ক সেই ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের সাইক্কা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল)।
ভেদরগঞ্জ থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে স্থানীয় ছয় নারীকে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করে সে তাদের থেকে অর্থ আদায় করে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে ওই ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় আরিফ।
১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবকের আইডি থেকে প্রথমে ৬ নারীর সাথে আরিফের আপত্তিকর ছবি ছড়ানো হয়। এরপর ওই দিন রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ও রাত ৮টা ৪২ মিনিটে নারায়ণপুর ইউনিয়নের ইকরকান্দি গ্রামের রাজিব মাদবরের ফেসবুক থেকে এসব ভিডিও ও ছবি পোস্ট করে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ হওয়ার পর ১১ নভেম্বর নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদারকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশ ক্রমে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় অন্যতম ভুক্তভোগী আসিয়া ওরফে সুফিয়া ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দেড় মাস পরে গতকাল পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ইনটেলিজেন্স উইংয়ের সহযোগিতায় জানতে পারি আরিফ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে নৌপথে গোসাইরহাট যাচ্ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা নদী এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
