কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশনরত শিক্ষকদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন
২৫ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ৯:১৯

অনশনের দ্বিতীয় দিন

শীত ও অনশনে অসুস্থ ৩০ শিক্ষক

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে বেতনের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। দ্বিতীয় দিন শেষে এখনো কোনো আশ^াস না পাওয়ায় অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান শিক্ষক নেতারা। গত দুই দিনের অনশনে অসুস্থ হয়েছেন ৩০ শিক্ষক।

সর্বশেষ তথ্য মতে, শনিবার রাতে তিনজন এবং গতকাল রোববার অসুস্থ হয়েছেন ২৭ শিক্ষক। এর মধ্যে ১৮ জনের নাম জানা গেছে। গুরুতর অসুস্থ ১০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তারা হলেনÑ আনোয়ার হোসেন (৩৫), তানজিলা (২৮), রফিকুল ইসলাম (৪২), নাসরীন আক্তার (৪০), এমদাদুল হক (৪৫), মো: জাহিদ হোসেন (৪০), আব্দুল হাই (৫০), সালমা বেগম (৪০), আজমল হোসেন (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম (৩০)।
এ ছাড়াও আরো অসুস্থ হয়েছেনÑ সালেহা আক্তার মুক্তা, আবদুর রহিম, এখলাসুর রহমান, ফিরোজ আলম, আলাউদ্দিন, হুমায়ুন কবির, নাসরিন আক্তার এবং মো: রাশেদ। শিক্ষক প্রতিনিধি ও মেডিক্যালের ডাক্তারের তথ্য মতে, তীব্র শীত ও অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষকেরা।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফিরোজ আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, অসুস্থদের মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অনাহারে শরীরের গ্লুকোজ কমে গিয়ে তাদের অনেকই অসুস্থ হয়েছেন বলে জানান তিনি।

শিক্ষক নেতা মো: আনিসুর রহমান বলেন, শীতের রাতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সর্বশেষ ৩০ জনের অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ দিকে তীব্র শীত ও অনাহারে ভোগান্তির কথা মাথায় নিয়ে সরাসরি লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানানোর জন্য শিক্ষকদের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবাহান গোলাপের কাছে যান। তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবির কথা জানাবেন তারা। সর্বশেষ এ প্রতিবেদন লেখা (রাত সাড়ে ৭টা) পর্যন্ত তাদের কোনো আশ^াস দেয়া হয়নি।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে এক দফা (বেতন বৈষম্য দূরীকরণ) দাবিতে আমরণ অনশন করে দেশের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোট। তাদের দাবির পক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশ^াসের আগ পর্যন্ত এ অনশন চলবে বলে জানান শিক্ষক নেতারা। দাবি আদায় না হলে প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষার ফল আটকে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা। পাশাপাশি ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করা হবে না বলেও ঘোষণা তাদের।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/279346