২০ ডিসেম্বর ২০১৭, বুধবার, ১১:১৯

প্রশ্ন ফাঁসে প্রশ্নবিদ্ধ শিক্ষা ও পরীক্ষাব্যবস্থা

এত দিন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর শোনা যেত। ২০১৪ সাল থেকে শোনা যেতে থাকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার খবর।
কিন্তু এখন প্রথম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই কোমলমতি শিশুদের হাতে চলে যাচ্ছে মূল প্রশ্ন। এবার কয়েকটি জেলায় আলাদাভাবে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা বাতিলও করা হয়েছে। ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায়ও পুরোদমে ফাঁস হচ্ছে প্রশ্ন। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার এমন প্রতিযোগিতায় পুরো শিক্ষাব্যবস্থাই এখন টালমাটাল।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার এত ঘটনা ঘটলেও তা প্রতিরোধের কোনো সুখবর নেই। গত কয়েক দিনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কণ্ঠেও শোনা গেছে অসহায়ত্বের কথা। সাধারণ শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা এখন পড়াশোনার চেয়েও বেশি চিন্তায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে।
এই দুরবস্থার মধ্যেই আগামী ফেব্রুয়ারিতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে শুরু হতে যাচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
গত সাত বছর বোর্ডভিত্তিক আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হলেও এবার থেকে সারা দেশে সব পাবলিক পরীক্ষা একই প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি আরো বাড়বে। আগে এক বিভাগের প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তা ওই এলাকায়ই সীমাবদ্ধ থাকত। এখন কোনো এক জায়গায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে যাবে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডগুলো অভিন্ন প্রশ্নপদ্ধতি চালু করার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তাদের মতে, বোর্ডভিত্তিক প্রশ্ন হওয়ায় একেক বোর্ডে একেক রকম প্রশ্ন হয়। এতে কোনো বোর্ডের প্রশ্ন সহজ হয়, ফলে সেখানকার শিক্ষার্থীরা বেশি নম্বর পায়। আবার কোনো বোর্ডের প্রশ্ন কঠিন হয়, এতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা নম্বর কম পায়।
অথচ শিক্ষাবিদরা বলছেন, একেক অঞ্চলের পড়ালেখার ধরন একেক রকম। ফলে বোর্ডভিত্তিক প্রশ্ন হলে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ধরন অনুযায়ী প্রশ্ন করা যায়। এতে শিক্ষার্থীরা সহজেই উত্তর দিতে পারে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বোর্ডভিত্তিক আলাদা প্রশ্নপত্র হওয়ায় একেক বোর্ডের ফল একেক রকম হয়; কিন্তু এসএসসির পর যখন কলেজে বা এইচএসসির পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটাই গ্রেড পয়েন্ট ধরে আবেদন চাওয়া হয়, তখন কোনো কোনো বোর্ডের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে। তাই এ বিষয়ে গবেষণা শেষে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারেই আগামী এসএসসি পরীক্ষা হতে অভিন্ন প্রশ্নপদ্ধতি চালু হচ্ছে। তবে এবার আমরা প্রশ্ন ফাঁস রোধে বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’
সম্প্রতি শেষ হওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও পিইসি পরীক্ষার প্রায় প্রতিটি বিষয়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ছিল। চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে স্কুলগুলোতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। সাধারণত একটি উপজেলায় কয়েক শ স্কুলে পরীক্ষা হয় একই প্রশ্নপত্রে। গত রবিবার বরগুনা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে গণিত বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই ছোট্ট শিশুদের হাত চলে যায় প্রশ্ন। এতে ২২৫টি স্কুলের ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। একই জেলার বেতাগী উপজেলায়ও ওই দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ১৪০টি স্কুলের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। গত সোমবার নাটোর সদর উপজেলায় প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এতে পরীক্ষা বাতিল করা হয় ১০৬টি স্কুলের।

গত রবিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস রোধে আমাদের কাছে বহু পরামর্শ রয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপানোর কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন ফাঁসকারী যখন শিক্ষকরাই তখন আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্ন করে লাভ কী? আসলে শিক্ষকরাই আসল প্রশ্ন ফাঁসকারী। ’
ওই মতবিনিময় সভায় দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সারা দেশে যত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে এর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সরকারি লোকজন জড়িত। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কিভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ’
গত সোমবার ছাপাখানা পরিদর্শন শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস যুগ যুগ ধরে হচ্ছে। আগে এত বেশি প্রচারণা হতো না। এখন গণমাধ্যম বেড়ে যাওয়ায় তা সর্বস্তরে প্রচার হয়ে যাচ্ছে। তবে এই ফাঁসের মূল হোতা আমাদের শিক্ষকরা। সরকারকে বিপদে ফেলতে পাবলিক পরীক্ষার দিন সকালে শিক্ষকরা প্রশ্ন পেয়েই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তা ফাঁস করে দিচ্ছেন। আগে বিজি প্রেস ছিল প্রশ্ন ফাঁসের আখড়া। আমরা নানাভাবে সেখানে প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করেছি। বর্তমানে আমাদের শিক্ষার চালক শিক্ষকরাই প্রশ্ন ফাঁস করছেন। ’
অনুসন্ধানে জানা যায়, পরীক্ষার দিন সকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার জন্য শিক্ষকরাই দায়ী। তারা ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে তা খুলে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবি তুলে তা বাইরে পাঠিয়ে দেন। এরপর তা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় রাজধানীর একাধিক স্কুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস করায় জড়িত একাধিক শিক্ষককে আটকও করা হয়। সাধারণত যেসব শিক্ষক কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই প্রশ্নপত্র ফাঁস করার সঙ্গেও জড়িত।

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর কমলাপুরের শের-ই-বাংলা স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক রফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার হন। তিনিসহ কয়েকজন মিলে জ্ঞানকোষ একাডেমি নামে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কুলের কিছু অসাধু শিক্ষক পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই প্রশ্নপত্র পাঠাতেন জ্ঞানকোষ একাডেমির পরিচালক জহিরুল ইসলামের কাছে। জহিরুল ইসলাম সমাধানসহ ওই প্রশ্ন ফেসবুকে পোস্ট করতেন। এ ছাড়া মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহজাহানপুর রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকও পর্যবেক্ষণে আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এসব শিক্ষকের কোনো শাস্তি হওয়ার খবর জানা যায়নি।

শিক্ষামন্ত্রী গত রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোচিং সেন্টারগুলো শিক্ষকদের লোভ দেখায়, যেকোনোভাবে প্রশ্ন ফাঁস করে তাদের শিক্ষার্থীদের ভালো ফল করাতে পারলে কোচিং ব্যবসা ভালো হবে; টাকা আয়ের পরিমাণটাও বাড়বে। এসব লোভের কারণে শিক্ষকরাই কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। আর কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে বাড়িতে বা কোচিংয়ে পড়ান। যত নামি শিক্ষক, ক্লাসে তত কম পড়ান। কারণ ক্লাসে ভালো পড়ালে তাঁদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে। ’
গত বছর এইচএসসির কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ এনে তার পক্ষে প্রমাণ তুলে ধরেছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে বহু দাবি করেছি, আমার দাবি কে শোনে? আমার দেশে এটা হবে তা কেমন করে মানা যায়? মানুষ জানে এটা অন্যায়, তাই প্রতিবাদ করছি। আমি প্রশ্ন ফাঁস হতে দেব না—এমন ইচ্ছে থাকলেই প্রশ্ন ফাঁস হবে না। ’
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা বলছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এত দিন প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার তথ্য স্বীকারই করেনি। এখন অন্তত স্বীকার করছে, এটা ভালো লক্ষণ। কিন্তু খোদ শিক্ষামন্ত্রীই যেহেতু এসব জেনেশুনেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না, তাহলে প্রশ্ন ফাঁস কী করে থামবে সে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মতে, যারা ফাঁস করে তারা শাস্তি না পাওয়ায়ও প্রশ্নপত্র ফাঁস বাড়ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকার শাস্তি ন্যূনতম তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড। পাবলিক পরীক্ষাগুলো (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এবং সংশোধনী ১৯৯২ আইনের ৪ নম্বর ধারায় শাস্তির এই বিধান রয়েছে। তবে প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনে শাস্তির বিষয়ে সংশোধনী আনা হবে বলে জানা গেছে।
অভিভাবক সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামীমা সুলতানা নীপা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখন ভালোভাবে পড়ালেখা করিয়ে কী লাভ? অনেকেই সারা বছর ধরে পড়ালেখা করে না, অথচ ঠিকই পরীক্ষার আগে প্রশ্ন পেয়ে বেশি নম্বর পেয়ে যায়। তাহলে মেধার কী মূল্য রইল? একটি পরীক্ষা এলেই অভিভাবকদের বড় চিন্তা—এবার প্রশ্ন ফাঁস হবে কি না। এর পরও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ, তারা এত দিন প্রশ্ন ফাঁস স্বীকার করত না, এবার অন্তত করছে। এখন উচিত হবে প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া। ’

গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বর্তমান সচিব সোহরাব হোসাইনের (তখনকার অতিরিক্ত সচিব) নেতৃত্বে গঠিত আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটি তখন প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছিল। একটি সুপারিশে বলা হয়েছিল, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংশোধন ও প্রশ্ন নির্বাচনের কাজটি একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে করতে হবে। ওই সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারীদের কাছ থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে তা ‘প্রশ্ন ভাণ্ডারে’ রাখা হবে। সেখান থেকে প্রশ্নপত্রের সেট তৈরি হবে। একাধিক প্রশ্ন সেট অনলাইনে পরীক্ষার দিন সকালে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হবে। এরপর স্থানীয়ভাবে প্রিন্টারে ছাপিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। কিন্তু সেই সুপারিশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। নেওয়া হয়নি নতুন কোনো কার্যকর উদ্যোগও।

২০১৫ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল টিআইবি। তাতে বলা হয়েছিল, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে এই প্রবণতার শুরু। ২০১৫ সালের আগের চার বছরে শুধু পাবলিক পরীক্ষায়ই ৬৩টি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে এর পরও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ২০১৪ সালে এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালে পিএসসি এবং ২০১৫ সালে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়। ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। ২০১৩ সালে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে একটি করে কমিটি করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড আলাদাভাবে তদন্ত কমিটি করেছিল।

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2017/12/20/579599