১১ ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার, ১০:৪৭

গুমের অভিযোগের মধ্যেই আজ মানবাধিকার দিবস

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুম-খুনের একের পর এক অভিযোগের মধ্যে আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

আগস্টের শেষ ভাগ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ জন গুম হয়েছেন। তাঁদের চারজনের সন্ধান পাওয়া গেলেও আটজনের কোনো খোঁজ নেই।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের অধিকার, আমাদের স্বাধীনতা, সর্বদা’। দিনটি উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার হাইকমিশনার জেইদ আল রাদ আল হুসেইন বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণের কারণে বৈষম্যের ঘটনা অতীত হয়ে গেছে ভেবে যেসব দেশ আত্মতৃপ্তিতে ছিল, সেসব দেশেও এই সমস্যাগুলো আবার দেখা গেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, তিনি আশা করেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন-সহযোগী, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সবাইকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ বছরের জুন পর্যন্ত, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) অক্টোবর পর্যন্ত এবং অধিকার এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হিসেবে গুম ও নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন, বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৮৭ জন। এর বাইরেও ১২৬ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

আসক বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১৩৯ জন। এর মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ৪৭ জন, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ১১ জন এবং র্যা বের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন ২৪ জন। একই সময়ে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন ৫০ জন। অধিকারের হিসাবে এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৮০ জন গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেছেন, দেশে এখন নাগরিক স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবিক অধিকার নেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, যে পরিবারের কোনো সদস্য গুম হন বা নিখোঁজ হন সে পরিবারে একটা আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নেমে আসা উচিত।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/1383532