৮ ডিসেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ১০:২৪

ট্রাম্পের ঘোষণায় বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও বিক্ষোভের আগুন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতিদানের প্রতিবাদে তুরস্কের ইস্তাম্বুলসহ সারাবিশ্বে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে।।
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণায় কে কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, এএফপির প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, তার সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে না। এটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি আলোচনার জন্য সহায়ক নয়। ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সুরে বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না।
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তার মুখপাত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন, দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিন-ইসরাইল বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ভঙ্গ করে ট্রাম্প যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি সমর্থন করেন না। ‘পৃথক দুই রাষ্ট্র’-নীতির মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান বলে তিনি মনে করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কূটনীতিক ফিদেরিকা মোগেরিনিও ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ট্রাম্পের ঘোষণার সমালোচনা করেছেন। তিনি এই বলে সতর্ক করেছেন যে জেরুসালেমের কী হবে, তা কেবল ইসরাইল-ফিলিস্তিন আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে আমি এখন থেকেই এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আমার অবস্থানের কথা জানিয়ে যাব।’

ট্রাম্পের জেরুসালেম ঘোষণার সমালোচনা করে এক কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব, ইরান, সিরিয়া, লেবানন ও জর্ডান। সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি ‘অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনীদের ঐতিহাসিক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। ইরান ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেছে, এ সিদ্ধান্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের নতুন ইন্তিফাদা বা গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা করতে পারে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত মুসলমানদের নতুন ইন্তিফাদা, উগ্রবাদ, ক্ষুব্ধ ও সহিংস কর্মকা-ের দিকে উসকে দেবে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কার্যালয় থেকে ট্রাম্পের জেরুসালেম সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় থেকে বলা হয়, ‘জেরুসালেমের ভবিষ্যৎ কোনো রাষ্ট্র বা প্রেসিডেন্টের দ্বারা নির্ধারিত হতে পারে না।’ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের চাওয়া ও অধিকারের ব্যাপারে সর্বোচ্চ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, আরব বিশ্ব কখনোই ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। আর জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মোহামেদ মোমানি এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, ট্রাম্প জেরুসালেম ঘোষণার মাধ্যমে জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ট্রাম্পের ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ‘হে ট্রাম্প, আপনি কী করতে চান? এটা কী ধরনের আচরণ। রাজনৈতিক নেতা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা কোনো বিষয়কে অচল করেন না।’ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিছিলের ডাক দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১২টার দিকে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘ, আরব ও মুসলমান-অধ্যুষিত দেশ, এমনকি মার্কিন মিত্রদের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে তিনি নিজের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন। একই সঙ্গে ইসরাইলের তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ‘ঐতিহাসিক’, ‘সাহসী ও সঠিক সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের কাছে পবিত্র এই শহরের স্থাপনায় কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন।

এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনের সরকার ও জনগণ। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক ভাষণে বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্র আর কোনোভাবেই ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারবে না। দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য এই সিদ্ধান্ত শান্তি আলোচনার সব ধরনের উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছে।
ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) প্রধান সায়েব ইরেকাত বলেছেন, ট্রাম্প ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের ‘পৃথক দুই রাষ্ট্র’ সমাধানের শেষ আশাটুকুও নষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট সমাধানে ফিলিস্তিনের পক্ষে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। আর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ইসমাইল রেদোয়ান সাংবাদিকদের বলেন, এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে ‘নরকের দরজা’ খুলে গেল।
বিভিন্ন দেশে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ: ডোনাল্ড ট্রাম্প অধিকৃত ফিলিস্তিনের জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে একতরফাভাবে স্বীকৃতি দেয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মার্কিনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি ধর্মের জন্যই পবিত্র ভূমি হিসেবে পরিচিত জেরুসালেম।
বুধবার ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি ঘোষণার পর পরই গাজার রাজপথে নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা। তাৎক্ষণিক বিক্ষোভে যোগ দেন হামাস নেতারাও। বিক্ষোভকারীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া তিন দিনের শোক দিবস পালনের ঘোষণাও দেয়া হয় গাজায়।
ট্রম্পের ঘোষণার পরই রাতেই বিক্ষোভ হয় লেবাননে। হাজার হাজার মানুষ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে।

১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিল। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জেরুসালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছেন ইহুদিরা। যদিও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই এ দাবিকে মেনে নেয়নি। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান আরব, ইউরোপ ও জাতিসংঘের : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র, ইউরোপ ও জাতিসংঘ।

এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ‘অস্থিরতা কবলিত অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিন বলেছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ওয়াশিংটন তার নেতৃত্বদানকারী ভূমিকার জলাঞ্জলি দিয়েছে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছে। জেরুসালেম বিষয়ে কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত নীতি পাল্টে দেওয়া ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্ররা।

ট্রাম্পের ‘একতরফা’ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ফ্রান্স, পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি বজায় রাখারও আবেদন জানিয়েছে দেশটি।
ব্রিটেন বলেছে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শান্তি উদ্যোগের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখবে না এবং জেরুসালেমে ইসরাইল ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব থাকা উচিত।
জার্মানি বলেছে, জেরুসালেমের মর্যাদা শুধু দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আরব রাষ্ট্রগুলোও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে সৌদি আরব বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা ‘অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’।
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরায়েলে সঙ্গে প্রথম শান্তিচুক্তি করা মিশর ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এতেও জেরুসালেমের আইনি মর্যাদা নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটবে না।

জর্ডান বলেছে, পূর্ব জেরুসালেমের ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে দৃঢ় করায় ট্রাম্পের পদক্ষেপ ‘আইনি বৈধতা হারিয়েছে’। লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, জেরুসালেমের বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঙ্কট সৃষ্টি করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রচেষ্টার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযো গ্যতাকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে। এই সিদ্ধান্তে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে আর তাতে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে মন্তব্য করেছে তুরস্ক। ট্রাম্পের এই ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যুক্তরাষ্ট্রের কন্স্যুলেটের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে কয়েকশ প্রতিবাদকারী। কন্স্যুলেট ভবনের দিকে কয়েন ও অন্যান্য বস্তু ছুঁড়ে মারে তারা।
ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের দেওয়া প্রস্তাবের লঙ্ঘন অভিহিত করে এর ‘তীব্র নিন্দা’ করেছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যুদ্ধ শুরু করার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধী, এটি পরিষ্কার করে দিন।”
এসব প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “ইসরাইলে প্রথম দিন থেকে এটি আমাদের লক্ষ্য ছিল, এটি শান্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
ট্রাম্পের নজিরবিহীন সিদ্ধান্তে বিপর্যয়ের আশঙ্কা : ভিন্ন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে একটি শহরকে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ব ইতিহাসে নজিরবিহীন এক ঘটনার জন্ম দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩ লাখ ৩০ হাজার (জেরুজালেমের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ) ফিলিস্তিনির আবাস জেরুসালেমকে ইসরাইলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে তিনি মার্কিন রাষ্ট্রনায়কদের এক সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের সমাপ্তি টানলেন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আরব বিশ্ব আরও বিভক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে ওই পদক্ষেপে গভীর হতাশা, সীমাহীন অস্তিরতা ও বিপর্যয়ের আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে।

বুধবার জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে হোয়াইট হাউসে কূটনীতিকদের অভ্যর্থনা কক্ষে এক ঘোষণায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করছি, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির এটাই সময়।’ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্য দেশের রাজধানী নির্ধারণে হস্তক্ষেপ খুবই নজিরবিহীন একটি ঘটনা। তবে জেরুসালেমের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আলাদা। জেরুসালেমকে রাজধানী ঘোষণা ও দূতাবাস স্থানান্তর বিষয়ে ট্রাম্পকে সাবধান করেছিল জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব লিগ, সৌদি আরব, জর্ডান, তুরস্ক, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। তার পূর্বসুরিরাও শান্তি প্রক্রিয়ার স্বার্থে জেরুসালেম ইস্যুতে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। ১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই জেরুসালেমকে তাদের রাজধানীর স্বীকৃতি দিলো। এএফপির আরেক প্রতিবেদনে বিশ্ব সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে বিভক্তি জোরালো হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পবিত্র ধর্মীয় স্থান জেরুসালেম। তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণে ৪ ডিসেম্বর সময়সীমা পার হয়ে গেছে। সোমবার দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা না দেওয়ায় দেশটির আইন অনুযায়ী আরও ছয় মাসের মধ্যে দূতাবাস সরছে না। দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিতের পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন জেরুসালেমকে ইসরাইলি রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে। ওই অঞ্চলে জন্ম দেবে নতুন অস্থিরতার। প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট লিখেছে, আরব, মুসলিম আর পশ্চিমা মিত্রদের উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দূতাবাস স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছেন। জেরুসালেমকে ইসরাইলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে তিনি বিক্ষোভ উসকে দিয়েছেন।
জেরুসালেমকে রাজধানী ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘দুই দশকেরও বেশি সময়ের ছাড় দিয়েও আমরা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির কাছাকাছি পৌঁছাতে পারিনি।’ তার উদ্যোগ শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করেন তিনি।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে পিটার বিমন্ট জেরুসালেম থেকে জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত গভীর উদ্বেগ আর বিভক্তির জন্ম দিয়েছে। বিবিসির ওয়াশিংটন সংবাদদাতা বারবারা প্লেট-উশেরও বলছেন, নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইহুদিদের সমর্থন পেতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জিতলে তিনি জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন এবং মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করবেন। তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখছেন। সংবাদদাতা বলছেন, এই স্বীকৃতি দিয়ে মি. ট্রাম্প যে পরে প্রতিদান হিসেবে শান্তিচুক্তি ত্বরান্বিত করতে ইসরাইলের ওপর চাপ দেবেন, তার কোনও ইঙ্গিতই নেই।

ফিলিস্তিনের মুক্ত চিন্তার রাজনীতিবিদ মুস্তাফা মারঘুতি ট্রাম্পের ঘোষণাকে প্রতিক্রিয়ায় ‘বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেছেন, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি । তিনি মনে করছেন, ট্রাম্পের ঘোষণা গুরুতর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করবে। ‘ওই ঘোষণা ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মুসলিম, ২ দশমিক ২ বিলিয়ন খ্রিস্টান এবং ৩৬০ মিলিয়ন আরবের জন্য নতুন সংকটের কারণ হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রতিরোধের আগুনে উত্তাল 'পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার' : জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার ঘটনায় প্রথম প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায়। বুধবার ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই রাস্তায় নেমে আসে উপত্যকার বিপন্ন মানুষেরা। রাজপথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। প্রতিরোধে আগুনে ফুঁসছে 'পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগারের জনতা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট আর মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পর্যবেক্ষণের ব্রিটিশ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত থেকেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সমর্থনে যেন সবাই অংশ নিতে পারে সেজন্য বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত শত শত ফিলিস্তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এতে করে ওই অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গাজা শহরের মূল কেন্দ্রেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের ছবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনিরা।
এর আগে বুধবার জেরুসালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাসকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথাও জানান। তবে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার হুমকি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পবিত্র ধর্মীয় স্থান জেরুসালেম। তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে পিছু হটলেও ট্রাম্প আসলে শহরটিকে ইসরায়েলি রাজধানী ঘোষণা করার কথা জানান।ইসরাইল সব সময়ই জেরুসালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে, পাশাপাশি পূর্ব জেরুসালেম ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হবে বলে দেশটির নেতারা বলে আসছেন। এই অবস্থায় ট্রাম্পের এ ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা।
শান্তি প্রক্রিয়ায় মরণ কামড় বসিয়ে জাহান্নামের দরজা খুলেছেন ট্রাম্প! : জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া’ ধ্বংস করেছেন বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠন পিএলও। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘মরণ কামড়’ আখ্যা দিয়েছে। সশস্ত্র মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস বলছে, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে ট্রাম্প ‘জাহান্নামের দরজা’ খুলেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বুধবার জেরুসালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাসকে জেরুসালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথাও জানান। ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময়। গত সাত দশকে ইসরাইলি জনগণ এমন এক দেশ গড়ে তুলেছে যেখানে ইহুদি, মুসলিম খ্রিস্টানসহ নানা ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ স্বাধীনভাবে বাস করে আসছে এবং তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উপাসনা করে আসছে।’
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় শাসন করা হামাস আরব ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি মার্কিন এই ঘোষণার বিরোধীতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, ‘আমরা জানি কিভাবে এর জবাব দিতে হয়। এই সিদ্ধান্তে মার্কিন স্বার্থে এই অঞ্চলে জাহান্নামের দরজা খুলে গেল।’ ইসমাইল বলেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় ইতিহাস ও ভূগোল পাল্টে যাবে না।

প্যালেস্টাইনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন- পিএলও জানায়, ট্রাম্প দ্বি-রাষ্ট্র নীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার হুমকি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া নিন্দা জানিয়েছেন অন্যান্য বিশ্বনেতারা।
হামাস বলেছে, ট্রাম্প বাইতুল মোকাদ্দাসকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি প্রকাশ্য শত্রুতা শুরু করেছেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানোর জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত শীর্ষ ফিলিস্তিনি কূটনীতিক ম্যানুয়েল হাসাসিয়ান। তিনি বলেন, এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় মরণ কামড় বসানোর সামিল। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ম্যানুয়েল বলেন, ট্রাম্প যদি বলেন যে জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করতে চান, তবে সেটা হবে দুই রাষ্ট্র সমাধানের পথে ‘মরণ কামড়’।
এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেড়শ কোটি মুসলিমের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। বিশ্বের কোটি কোটি খ্রিষ্টানও তাদের পবিত্র স্থান ইসরাইলের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিবে না। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উপদেষ্টাও মাহমুদ হাবাস একই কথা বলেছেন, তিনি বলেন, ট্রাম্প জেরুসালেমকে রাজধানী ঘোষণায় শান্তি প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।
আব্বাসের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, জেরুসালেমের এই পরিবর্তনে ‘বিশ্বকে মূল্য’ দিতে হবে। এছাড়া ট্রাম্পের ঘোষণার কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।

http://www.dailysangram.com/post/310394