৩ ডিসেম্বর ২০১৭, রবিবার, ৯:৫৩

ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বন্ধুর হাতে যুবলীগ কর্মী খুন

দখলবাজি, চাঁদাবাজির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হলেন যুবলীহ কর্মী দিদারুল আলম (৩০)। চট্টগ্রামেন বাঁশখালী পৌরসভার উত্তর জলদী মানিকপাড়ায় রোববার দিনগত রাতে এ ঘটে।

আজ শনিবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিদারুল আলমের মৃত্যু ঘটে বলে জানান হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম।

তিনি জানান, রোববার দিবাগত রাত ২ টায় দিদারুল আলমকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। সেখানে ঘন্টাখানেক চিকিৎসার পর সোয়া ৩টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।

হাসপাতালে দিদারুল আলমকে নিয়ে আসা প্রতিবেশী নাজিম উদ্দিন জানান, টাকা পয়সার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে আবদুল মালেক ইজু নামে এক বন্ধু দিদারুল আলমকে রবিবার রাত ১০টার দিকে ছুরিকাঘাত করে।
এতে গুরুতর আহত হয় দিদারুল আলম।

স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা।

দিদারুল আলমের ভাষ্যমতে নাজিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবদুল মালেক তাকে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে হাটা অবস্থায় মালেক তাকে পিছন থেকে পিটে ছুরিকাঘাত করে। টাকা পয়সা নিয়ে মালেকের সাথে দিদারুল আলমের দ্বন্ধ ছিল বলে জানায় নাজিম উদ্দিন।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আবদুল মালেক ইজু ও দিদারুল আলম যুবলীগের কর্মী। তারা বন্ধুও। তবে টাকা পয়সার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কিছুদিন আগেও তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয় মুরুব্বিরা বিষয়টা মিটমাট করিয়ে দেন। কিন্তু মালেকের মনে ক্ষোভ ছিল। তাই সে গতরাতে ডেকে নিয়ে দিদারুলের পিঠে ছুরিকাঘাত করে।

ওসি জানান, এই ঘটনায় আবদুল মালেককে আসামি করে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত আব্দুল মালেক ইজুকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

 

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=94567