বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে অশ্লীল গানের বিরুদ্ধে আলোচনা রাখায় জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হলেন মসজিদের খতিব। গতকাল শুক্রবার বেলা ২টায় উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদসংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর হলুদ্যাশিয়া এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। এ দিকে ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত স্থানীয় বাসিন্দা হাজী আলী আহমদের সদ্য বিবাহিত ছেলে নুরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
মুসল্লিরা জানান, করলিয়ামুরা দারুসসালাম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর জুমার নামাজে কুরআন ও হাদিসের আলোকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ ব্যাপারে বয়ান করেন। আলোচনা করার সময় তিনি অশ্লীল গান-বাজনা থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এতেই স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদের খতিবকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম ও পরিধেয় কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন।
স্থানীয় মুসল্লিরা আরো জানান, কিছু দিন আগে মসজিদসংলগ্ন হাজী আলী আহমদের বাড়িতে তার ছেলে নুরুল ইসলামের বিয়ের জমকালো আয়োজন হয়। তার বাড়িতে রাতভর অশ্লীল গানবাজনা চলে। জুমার নামাজের আগে মসজিদের খতিব ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ কুরআনের এ আয়াত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে মুসল্লিদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মসজিদের খতিব মাওলানা ছৈয়দ নুর বলেন, আমি কারো নাম ধরে জুমার নামাজের আগে আলোচনা করিনি। আমি শুধু এলাকার সামগ্রিক বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে এলাকাবাসীকে ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের’ ব্যাপারে সতর্ক করেছি মাত্র। তিনি আরো বলেন, নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা করে। তার সাথে আমার কোনো পূর্বশত্রুতা নেই। এ দিকে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম পলাতক ও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত এসআই সৌরভ জানান, ঘটনাটি শোনার পর সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
