২ ডিসেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১০:০২

জ্ঞানশক্তি বনাম রাজনৈতিক অপশক্তি

ড. আবদুল লতিফ মাসুম


মূল বক্তব্যে যাওয়ার আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন দেখে নিই। ক. ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির অপরাধে ১২ ভর্তি পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সম্প্রতি পরীক্ষা চলার সময় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে আদালত বসে। সেখানে অভিযুক্তদের জবানবন্দীর ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট তাদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম করে কারাদণ্ড দেন। এদের সবার কাছে ‘এটিএম’ কার্ডের মতো একটি যন্ত্র পাওয়া গেছে। ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, এটিএম কার্ডের মতো যন্ত্রটির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ করা যায়। তারা কানের মধ্যে একটি ছোট আকারের হেডফোন লাগিয়ে রেখেছিলেন এবং বাইরে থেকে কেউ প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের তৎপরতার কারণে এদের আটক করা সম্ভব হয় (১৩ অক্টোবর, দৈনিক জনকণ্ঠ)। খ. ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে জালিয়াত চক্রের তিন হোতাসহ মোট ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জালিয়াত চক্রের হোতাদের ধরতে আগে থেকেই কাজ করছিল। তারই সূত্র ধরে জালিয়াত চক্রের তিন হোতাকে কার্জন হল এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে (২১ অক্টোবর, বাংলাদেশ প্রতিদিন)। গ. জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে ছয় দিনে মোট ২১ জনকে আটক করেছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। ২৩ নভেম্বর নিজ নিজ বিভাগে হাতের লেখা পরীক্ষা করলে তাতে মিল না পাওয়ায় আটক করা হয় চার শিক্ষার্থীকে। এর আগে ২১ নভেম্বর আরেকজনকে আটক করা হয়। সে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। ‘ই’ ইউনিটে নবম স্থান লাভ করে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হতে এলে জালিয়াতির অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। এভাবে মৌখিক পরীক্ষা চলাকালীন যাদের আটক করা হয় তাদের সংখ্যা ১৬। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ২১ (২৩ নভেম্বর, banglanews24.com)। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এদের বেশির ভাগই ভাড়ায় খাটতে এসেছিলেন। প্রত্যেকের কাছ থেকে এরা চুক্তি মোতাবেক এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন অথবা নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। ঘ. বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টার অভিযোগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তিনজনসহ ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের তিনজনের মধ্যে দু’জন ছাত্রলীগের নেতাÑ একজন কেন্দ্রীয় কমিটির; অপরজন একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রাক্কালে তাদের আটক করা হয়। এর আগে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবং অমর একুশে হলের নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদককে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এদের কাছ থেকে জব্দ করা মুঠোফোনের হোয়াটস অ্যাপে বিভিন্ন ব্যক্তির আইডিতে প্রশ্নপত্র পাঠানোর ছবি, প্রবেশপত্র ও রোল নম্বর পাওয়া যায়। আটক দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। তাদের জবানবন্দী অনুযায়ী আরো সাত শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। বরিশাল মহানগর পুলিশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ দাবি করে, আটক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এসব প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতির অন্যতম হোতা। পুলিশের অভিযানে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি অ্যান্টিজ্যামার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পাঁচটি ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ব্লুটুথ ইনডাকশন (হেডফোন) ও তিনটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমিন বলেন, আটক ব্যক্তিদের সাথে তিনজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী যোগাযোগ করেছিলেন। তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাওয়া হয়। তাদের সাথে চুক্তি করলে ভর্তি ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা এই চক্রের দেয়া অ্যান্টিজ্যামার ইলেকট্রনিকস ডিভাইস শরীরে বেঁধে ছোট ইয়ারফোন কানে লাগিয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে পারতেন। এই ডিভাইস দিয়ে মুঠোফোনের মতোই কথা বলা যায়। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বাইরে থেকে চক্রের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের উত্তর বলে দিতেন (২৬ নভেম্বর, প্রথম আলো)।

বাংলাদেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় যে ধস নেমেছে, উপর্যুক্ত প্রতিবেদনগুলো তার একটি খণ্ডচিত্র। তাও আবার শুধু ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রিক। উল্লেখিত ঘটনাবলি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সমাজের এক বিরাট অংশ নিয়মতান্ত্রিক পথে ধাবিত না হয়ে অন্যায়, অনিয়ম, অসাধুতা ও দুর্নীতির পিছু ধাবিত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার মতো বিষয় প্রকৃতই মেধার প্রতিযোগিতা। মনীষী সক্রেটিসের ভাষ্য মোতাবেক ‘জ্ঞানই শক্তি’-এর নিয়ামক। শক্তি শুধু জ্ঞান। অর্থ নয়, বিত্ত নয়, ক্ষমতা নয়, শক্তি হচ্ছে জ্ঞান। ভর্তি পরীক্ষা, চাকরির পরীক্ষা এবং যেকোনো সুবিধা দেয়া ও নেয়ার মানদণ্ড হচ্ছে জ্ঞান। আমাদের পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে জ্ঞান বা মেধার স্তরক্রম রয়েছে। যেমনÑ গোল্ডেন এ প্লাস, ফার্স্ট কাস ফার্স্ট, সেকেন্ড কাস ও থার্ড কাস। মেধার স্তরক্রম অনুসারে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের প্রাপ্যতার নির্দেশনা রয়েছে। যেমনÑ গোল্ডেন এ প্লাস পেলে যেকোনো শ্রেষ্ঠ কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবার বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার ক্ষেত্রে এখন তিনটি ফার্স্ট কাস আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা। বিসিএস পরীক্ষায় একটি সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর স্নাতক ডিগ্রিই যথেষ্ট। এর পর সর্বত্রই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার বিধান রয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে একজন ব্যক্তিকে তার যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য মেধা বা জ্ঞানের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে হচ্ছে; কিন্তু আজকাল বিষয়টি আর সাধারণ বা স্বাভাবিক নেই। অসাধারণ লোকেরা অস্বাভাবিকভাবে ভর্তি, চাকরি ও অন্যান্য সুবিধার মালিক-মোখতার হয়ে যাচ্ছেন। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা আজ আর মেধার ওপর নির্ভর করে না। দলের পরিচয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থই যোগ্যতার নির্ধারক। এখানে ফার্স্ট কাস ফার্স্ট রেখে সেকেন্ড কাসের চাকরি হয়। বিসিএস পরীক্ষায় দলীয়করণের মাত্রা এতটাই নি¤œগামী যে, তিন-তিনবার উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি মেলেনি। পত্রপত্রিকায় এ রকম দেখা যায়, শাসক দলের সপক্ষে পুলিশি প্রতিবেদন আসেনি বলে অনেকের অবশেষে নিয়োগপত্র মেলেনি। অন্য সব চাকরিতে শাসক দলের প্রেরিত তালিকা অনুযায়ী চাকরি দিতে হচ্ছে। কোনো ধরনের শরম-ভরম না করে মন্ত্রী-মিনিস্টার ও শাসক দলের কর্তাব্যক্তিরা প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেনÑ দলের বাইরে চাকরি দেয়া যাবে না। এরপর প্রশ্নফাঁসের মহামারী তো আছেই। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসিÑ এমন কোনো বোর্ড পরীক্ষা নেই যার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এমন কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হয়নি যেখানে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হলে তা বলা যাবে না। মন্ত্রী ধমক দেন। চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হলে কর্তাব্যক্তিরা উট পাখির মতো বালুতে মুখ লুকিয়ে বলেন, ‘সব ঝুট হ্যায়’। আর প্রায় সব ক্ষেত্রেই এসব দুর্নীতি ও দুষ্কর্মের হোতা হচ্ছেন শাসক দলের লোকেরা। তারা এসব করে পাকা হয়ে উঠেছেন। শাসক দলের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর সদস্যও মনে করেন তিনিই সরকার। তারা যা করেন হত্যা, গুম, জখম, ধর্ষণ ও হামলাÑ তার কিছুই হবে না। এই যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি সারা দেশে চেপে বসেছে, তারই বিষফল ভোগ করতে হচ্ছে গোটা জাতিকে।

শিক্ষাঙ্গন দেশের বাইরের কোনো দ্বীপাঞ্চল নয়। শিক্ষার্থীরা এ দেশের আবহাওয়াতেই মানুষ। সমাজের ভালো-মন্দ, অন্যায়-অপকর্মের মাঝেই তারা মানুষ হয়। তারা যখন চার দিকে অন্যায়, অনাচার, অত্যাচার ও অনিয়মের বিজয় দেখে তখন তারা প্রথা-পদ্ধতি, নিয়ম-কানুন, রীতি-রেওয়াজ ও ভদ্রতা-সভ্যতাকে অগ্রাহ্য করতে শেখে। পুরনো কালের মতো তারা শিশুকালে শেখে না ‘সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা’। বরং নেতা, পাতিনেতা ও আধা নেতা যেভাবে অন্যায় করায় এবং নিজেরা অন্যায় করে তাতে কর্মী-সমর্থকেরা শেখে যে ‘অসততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’। ছাত্ররা বলে ‘যদি হয় প্রশ্নফাঁসÑ পড়ব কেন বারো মাস’। এমনিতেই পড়াশোনা সব জায়গায় উঠে গেছে। পরীক্ষা নামক যে বিষয়টি এখনো টিকে আছে, তা মন্ত্রীদের কল্যাণে আজ ভাঁওতাবাজিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং যারা ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে, তারা মেধা বা জ্ঞানের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ না হয়ে বাঁকা পথ খুঁজবেÑ এটাই স্বাভাবিক। দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের তারা কি শিক্ষাদীক্ষা দিচ্ছে, এটা তার এক বড় উদাহরণ। প্রতিদিন সংবাদপত্রে সোনার ছেলেদের কালো যে কাহিনী প্রকাশিত হচ্ছে তা শাসক দলের কারো চোখে পড়ে বলে মনে হয় না। প্রশ্নপত্র ফাঁসে তারা যে কৌশলের পরিচয় দিয়েছে তাতে মনে হয়েছে তারা সত্যি সত্যিই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ সার্থক করে তুলেছে। টাকা কামানোর যে বিদ্যা দিয়ে নেতারা আঙুল ফুলে কলাগাছ নয় বটগাছ হয়েছেন, সেখান থেকেও তারা কিঞ্চিৎ কামাইয়ের বিদ্যা শিখেছেন।

এসব রাজনৈতিক বিষয়ের বাইরে আরো একটি বিষয় স্বাভাবিকভাবেই বিদ্বজ্জনদের ভাবিয়ে তুলেছে যে, কী কারণে ভর্তি ইচ্ছুক উঠতি প্রজন্ম এমন অপচিন্তায় মেতে উঠেছে। পত্রিকায় প্রকাশিত চিত্রের চেয়ে আরো ভয়ঙ্কর সাধারণ মনস্তত্ব। বিশ^বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে খুব দুঃখের সাথে এ প্রবণতা লক্ষ করছি যে, স্বাভাবিক পথ ছেড়ে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অন্যায় পথ খুঁজছেন। সব সম্ভবের দেশে এরা তদবির করে ভর্তি হওয়া অসম্ভবÑ এটা বিশ^াস করতে রাজি নয়। রাজনীতির সাথে এর সংযোগ সম্ভবত প্রশ্নাতীত। তার বাইরে সমাজতত্ত্ব ও মনস্তত্ত্বে এর ব্যাখ্যা কীÑ তা নিয়ে গবেষণা ও অনুসন্ধান প্রয়োজন। সুতরাং ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিগত পরিবর্তন ও শিক্ষার সামগ্রিক সংস্কার নিয়ে শিক্ষাবিদদের সুচিন্তিত অভিমত কাম্য।

মাছের যেমন পচন শুরু হয় মাথা থেকে, তেমনি কোনো জাতির পচন শুরু হয় নেতৃত্ব থেকে। তিনি বলেছেন, ‘মাথায় পচন ধরেনি’। নেতৃত্বের ব্যক্তিগত সততাই যথেষ্ট নয়। তিনি তার প্রশাসন, সঙ্গী-সাথী ও দলবলকে সৎ রাখতে পারলেন কি না সেটিই প্রধান বিচার্য বিষয়। দলীয় কর্মীদের খেই মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশ যদি ফোকলা হয়ে যায়, তাহলে সেই দায় তার ওপরও বর্তায়। অ্যারিস্টটল বলেছেন, ‘নাগরিকদের নৈতিকভাবে গড়ে তোলা রাষ্ট্রের মহান দায়িত্ব।’ রাষ্ট্রের নাগরিক সাধারণ যদি জ্ঞানের শক্তিতে বিশ^াস করে, তাহলে অনায়াসেই অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে জাতি মুক্তি পাবে।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/273309